লামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তাকে হত্যার হুমকি

বান্দরবানের লামা উপজেলা স্বাস্থ্য সদর হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী, লামা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন ফারুকী সম্প্রতি লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নৈশ প্রহরী পদে যোগদান করেন। গত ১লা মার্চ লামা হাসপাতালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ এম সৈয়দ আহম্মদ সদ্য যোগদান কারী ইসমাইল হোসেন ফারুকী কে তাহার অফিসে ডাকান। তাহার উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালনের নির্দেশনা দেন। এক পর্যায়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কিছু বুঝে না উঠার আগেই ইসমাইল হোসেন ফারুকী তাহার উপর চড়াঁও হয় এবং গালিগালাজ করতে থাকে।

উক্ত বিষয়ে মিমাংসার জন্য ৭মার্চ শনিবার ২০১৫ইং বেলা ১১ঘটিকায় লামা হাসপাতালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তার কার্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা কৌঁটায় সদ্য নিয়োগকৃত নৈশপ্রহরী ইসমাইল হোসেন ফারুকীর অনিয়মের কথা বলায়, অফিসকাজের নির্দেশ অমান্য, গালিগালাজ বিষয়ে সমঝোতায় বসলে তার এক পর্যায়ে নৈশ প্রহরী সহ তার পরিবারের সদস্য বৃন্দরা পুনরায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তার উপর চড়াও হয় এবং তার প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করা হয়।

জানাগেছে গত ১লা মার্চ বিকাল ৪ঘটিকায় নৈশপ্রহরী ইসমাইল হোসেন ফারুকীর অফিসকাজের অনিয়ম নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বকা দিলে এক পর্যায়ে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ এম সৈয়দ আহম্মদকে সংঘবদ্ধ গ্রুপ নিয়ে মারতে আসে ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। উক্ত ঘটনার পর স্থানীয় নেতৃবৃন্ধদের নিয়ে আজ ৭মার্চ সমঝোতার জন্য বসলে নৈশপ্রহরী মোঃ ইসমাইল হোসেন ফারুকীর বাবা কাজী নুরুল আলম বাবু অঙ্গীকারনামা লেখাকে কেন্দ্র করে ডাঃ এম সৈয়দ আহম্মদকে গালাগালি করে এবং এক পর্যায়ে অঙ্গীকার নামা ছিঁড়ে ফেলে।

জানা যায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় একই পরিবারের চার জনের চাকরি হওয়ায় তারা কাউকে গায়ে মাখছেনা। দুই ভাই, এক বোন ও বোনের শুশুর একই পরিবারের ৪জন দীর্ঘদিন যাবৎ একই হাসপাতালে চাকরি করার কারণে রোগী, ডাক্তার, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সবার সাথে তারা খারাপ ব্যবহার করছে। কিছুদিন পূর্বে নৈশপ্রহরী মোঃ ইসমাইল হোসেন ফারুকীর বড় বোন এবং তার স্বামী কর্তৃক নিমোউনিয়া জনিত রোগে আক্রান্ত এক শিশুর বাবা সেবার অবহেলা নিয়ে বললে তাকে মারধর করে ও মামলার হুমকি দিয়ে নগদ ১০হাজার টাকা আদায় করে লামা হাসপাতালের নার্স শামসুন নাহার নুরি।

লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ এম সৈয়দ আহম্মদ বলেন, গত ১লা মার্চ রবিবার আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিলে আমি ভয়ে হাসপাতালের কম্পাউন্ডারের থেকে বাহিরে বের হইনা। নৈশপ্রহরী ইসমাইল হোসেন ফারুকী স্থানীয় হওয়ায় সংঘবদ্ধ গ্রুপ নিয়ে আমাকে মারতে টহল দেয়। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। লামা থানাকে অবহিত করার পরেও কেন আইনি সহযোগীতা করছেনা তা আমার বোধগম্য নয়।

বিষয়টি নিয়ে নৈশ প্রহরী ইসমাইল হোসেন ফারুকীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এব্যাপারে লামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, লামা হাসপাতালের পক্ষ থেকে থানায় কোন অভিযোগ দেয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো।



মন্তব্য চালু নেই