লামায় সম্পত্তির লোভে মা ছেলেকে মারধর করল চাচারা
লামা বাজারের ছোট নুনার বিল মার্মা পাড়ায় পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগভাটোয়ারা নিয়ে চাচা ও নিকট আত্মীয়দের হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছে ভাবী ও ভাতিজা। ঘটনাটি ঘটেছে লামা পৌরসভা মধুঝিরি এলাকায়। আহত মা ছেলে আপ্রু মে মার্মা (৫২) ও উথোয়াইগ্য মার্মা(৩২) লামা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
লামা থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড ছোট নুনার বিল মার্মা পাড়ার বাসিন্দা আপ্রু মে মার্মার স্বামী মৃত রে অং মার্মা পৈত্রিক সূত্রে ৭নং ওয়ার্ড মধুঝিরি এলাকায় ১২৬ নং খতিয়ানের ৪১ শতক জায়গার মধ্যে প্রায় ১০শতক জায়গায় বসতিসহ ভোগদখলে আছে। কিন্তু কিছুদিন পূর্বে রে অং মার্মা মৃত্যুবরণ করায়, এ সুযোগে মামলার বাদীর স্বামীর অন্য ভাইরা সম্পত্তির ভাগ না দিয়ে নিজেরাই সম্পূর্ণ দখলে নিতে ষড়যন্ত্র চালায়।
দীর্ঘদিন ভোগদখলে থাকা আপ্রু মে মার্মানী তার জায়গায় বাড়ি করে ভাড়া দেয়। প্রায় বিবাদীরা এসে ভাড়াটিয়া ও বাদীকে হুমকি দমকি দিত। ১২ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল ৮টায় মামলার বিবাদী ক্যচাচিং মার্মা (৫৮), ক্যহ্লাচিং মার্মা (৫৬), মেফা মার্মা (২৮), অংথোয়াই মার্মা (৩১), গওয়াইংবু মার্মা (৫২) ও মাক্যপ্রু মার্মা (৫৩) পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সংঘবদ্ধ ভাবে গিয়ে ভাড়াটিয়া আইরিন আক্তার কে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় এ সংবাদ শুনে আপ্রু মে ঘটনাস্থলে গেলে বিবাদীরা তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে প্রচন্ড মারধর সহ শ্লীলতাহানি করে। এলাকার লোকজন আহত আপ্রু মে কে উদ্ধার করে লামা হাসপাতালে নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় আপ্রু মে মার্মা শনিবার রাতে লামা থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করে। থানায় অভিযোগ দেয়ায় বিবাদীগণ ক্ষিপ্ত হয়ে সংঘবদ্ধভাবে রবিবার সকাল ৯টায় আপ্রু মে’র বড় ছেলে উথোয়াইংগ্য মার্মাকে বেদড়ক মারধর করে অন্ডকোষ চেপে ধরে এবং গলায় রশি লাগিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। প্রতিপক্ষরা উথোয়াইংগ্য মার্মা মৃত্যু নিশ্চিত মনে করে ফেলে গেলে আশপাশের লোকজন উদ্ধার করে লামা হাসপাতালে নিয়ে আসে। মা ও ছেলে দু’জনই লামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে লামা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার শফিকুর রহমান মজুমদার বলেন, মা ছেলে দু’জনেই আহত অবস্থায় লামা হাসপাতালে ভর্তি হয়। তাদের চিকিৎসা চলছে।
লামা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সিরাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আহত আপ্রু মে মার্মা’র লিখিত একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত করতে একজন এসআই কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কিন্তু পুনরায় রবিবার তার ছেলে উথোয়াইং গ্য কে মারার বিষয়টি দুঃখজনক।
মন্তব্য চালু নেই