লামায় বোনকে বাঁচাতে গিয়ে বাবা ভাইসহ গুরুতর আহত-৬

সোমবার ২০শে এপ্রিল ২০১৫ইং সকাল ৭ঘটিকায় নারী ঘটিত বিষয়কে কেন্দ্র করে বান্দরবানের লামায় রুপসী পাড়া ইউনিয়নে দরদরী বৈক্ষম পাড়া এলাকায় দু’পক্ষের মাঝে কাটাকাটি হয়। উভয় পক্ষের গুরুতর আহত ৬জনকে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

জখমকৃত ব্যাক্তিরা হলেন, উহ্লাচিং মার্মা (৫৮) পিতা- চিং পউ মার্মা, মংশৈইচিং মার্মা (২১) পিতা- উহ্লাচিং মার্মা, সুইনু মং মার্মা (১৮) পিতা- উহ্লাচিং মার্মা, সুইমে চিং মার্মানী (২৪) পিতা- উহ্লাচিং মার্মা, প্রুমা মার্মানী (৪০) স্বামী- অংগ্য মার্মা, মং ক্র অং মার্মা (৭৫) পিতা- থুইমং মার্মা সর্ব সাং দরদরী বৈক্ষম পাড়া লামা বান্দরবান পার্বত্য জেলা।

আহত উহ্লাচিং মার্মার ছোট ভাই মং লু য়াই মার্মা (৪৫) জানান, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তার ভাতিজী আহত সুইমে চিং মার্মানী জুমের কাজে খামারে যাওয়ার সময় একই পাড়ার চহ্লামং মার্মা তাকে পথে একা পেয়ে শারিরীক হয়রানী করার চেষ্টা করলে তার চিৎকার শুনে সুইমে চিং এর ছোট ভাই মংশৈইচিং ছুটে আসে।

চহ্লামং ও তার সহযোগীরা তাকে রড দিয়ে মেরে গুরুতর জখম করে। পরে হট্টগোল শুনতে পেয়ে সুইমেচিং এর বাবা ও আরেক ভাই আসলে উভয় পক্ষের মাঝে প্রচন্ড ঝগড়ার এক পর্যায়ে কাটাকাটি শুরু হয়। এতে করে ছয় জন গুরুতর আঘাত পায়। আহতরা বর্তমানে লামা উপজেলা হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক সহকারী মেডিকেল অফিসারে ডাঃ সুবাস চন্দ্র বিশ্বাসের তত্তাবধায়নে আছেন।

রুপসীপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছাচিংপ্রু মার্মা বলেন, ভোরে আমি জানতে পেরে দ্রুত লামা হাসপাতালে আহতদের দেখতে যাই। তাদের চিকিৎসা চলছে। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সহযোগীতা রোগীদের করা হবে।

লামা থানা ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ এসআই মোঃ নুরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। কিন্তু কেউ এখনো থানায় এসে অভিযোগ দাখিল করেনি। ডিউটি অফিসার হাসপাতালে আহতদের দেখে তথ্য সংগ্রহ করেছেন।



মন্তব্য চালু নেই