লামায় বিজিবি ক্যাম্প প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবীতে মানব বন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

মোহাম্মদ শামছুদ্দোহাঃ জেলা প্রতিনিধি বান্দরবান : বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী থেকে ৩০ডেবা বিজিবি বিওপি ক্যাম্প প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবীতে মানব বন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। লামা উপজেলা নির্বাহীর অফিসারের মাধ্যমে স¦রাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন। উক্ত ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে সহ¯্রাধিক জনসাধারণ গত কাল বুধবার দুপুরে ১১টা ৩০ থেকে লামা উপজেলা পরিষদের সামনে ও রাস্তায় এই মানব বন্ধন কর্মসূচী পালন করে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি ও স্থিতি শীলতায় এবং সীমান্ত রক্ষায় গত ১৯৮৩ সনে ৩০ডেবা বিজিবি বিওপি ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। নাইক্ষ্যংছড়ি ৩১ বিজিবি জোনের অধীনে এই ক্যাম্পটি পরিচালিত হয়ে আসছে। এই বিজিবি ক্যাম্প অত্র অঞ্চলের নিরাপত্তায় এবং জনসাধারণের সহাবস্থানে গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। গত ১৯৯৭ইং সনের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হলেও একাধিক সস্ত্রাসী গ্রুপ অত্রাঞ্চালে খুন, অপহরন, চাঁদাবাজি সহ সস্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। একই সাথে ৩০ডেবা বিজিবি ক্যাম্পটি অবস্থান হলেও মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষায় গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

আমরা ফাঁসিয়াখালি ইউনিয়নের বনফুর এলাকা বাসি ৩০ডেবা বিজিবি ক্যাম্প প্রত্যাহারের সরকারি সিদ্ধান্তের খবর শুনে আতংকগ্রস্থ। অত্র এলাকায় ৪১টি বাঙ্গালী পাড়া ও ২৫টি উপজাতি পাড়া রয়েছে। মানব বন্ধন কর্মসূচীতে স্থানীয় বাসিন্দা ফাঁসিয়াখালি ইউনিয়নের মোঃ সিরাজুল ইসলাম, মোঃ একরামুল ইসলাম, এম নাজিম, আবুল কালাম, ডাঃ রিংকু বাবু, মনির আহাম্মদ ও জাফরসহ সরকারের নিকট ৩০ডেবা বিজিবি বিওপি ক্যাম্প প্রত্যাহার না করার জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন।

তারা উল্লেখ্য করেন ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হলে লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ও পার্শ্বোবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারীসহ এই দুই ইউনিয়ন সস্ত্রাসীদের অভয়ারন্যে পরিনত হবে। বক্তারা বলেন কোন ধরণের পূর্ব গোষনা না দিয়ে এবং বিকল্প ব্যবস্থা না করে ৩০ডোবা বিজিবি ক্যাম্প প্রত্যাহার আমাদের জনবসতির জান এবং মালকে চরম হুমকির সম্মুখীন করে দিয়েছে। বক্তারা আরো বলেন যেকোন মূলে প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে হলেও আমরা বিজিবি ক্যাম্প রক্ষা করব।



মন্তব্য চালু নেই