লবণ খাওয়ার সমস্যা ও প্রতিকার
লবণ আমাদের দেহের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। সুস্থ থাকার জন্য লবণ খাওয়া জরুরী। রাসায়নিক নাম সোডিয়াম ক্লোরাইড। তবে লবণ খাওয়ার কিছু ভুল পদ্ধতি উল্টো বিপদ ডেকে আনে।
লবণ খাওয়ার বিপদগুলো জেনে নিনঃ
লবণের বিপদঃ
১. অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস স্বল্পমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে। রক্তচাপ বাড়ে, হাড়কে দুর্বল করে দেয়।
২. শরীরে লবণের পরিমাণ বেশি হলে শরীরে পানি জমে যায়। যার জেরে শরীরে উচ্চ রক্তচাপ তৈরি হয়
৩. অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগ ও ব্রেন স্ট্রোকের পক্ষে ক্ষতিকারক।
৪. শিশুদের ক্ষেত্রে বাড়তি লবণ কিডনি, লিভার ও মস্তিষ্কের ক্ষতি করে।
৫. হাড়ের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান ক্যালসিয়াম। অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ করলে মূত্রের মাধ্যমে ক্যালসিয়াম শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। হাড়ের ক্যালসিয়াম ক্ষয় হয়ে অস্টিওপোরোসিস রোগ দেখা যায়।
৬. অতিরিক্ত লবণ মস্তিষ্কের নিউরনকে প্রভাবিত করে।
৭. পাকস্থলীর ঘা এবং কোলন ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগের সৃষ্টি করে।
কী করে বুঝবেন বেশি লবন খাচ্ছেন?
১. অতিরিক্ত পানির তেষ্টা পাবে।
২. হাত পায়ে পানি জমে ফোলা ফোলা ভাব দৃশ্যমান হবে।
৩. নোনতা খাওয়ার ইচ্ছে বাড়বে।
৪. ঘন ঘন বদহজমের সমস্যা।
কীভাবে লবন খাওয়া কমাবেন?
১. ভাত বা ফলের সঙ্গে লবণ খাওয়া বন্ধ করুন।
২. খাদ্য সংরক্ষণের জন্য লেবুর রস, ভিনিগার,কাঁচা রসুন ও মশলা ব্যবহার করুন।
৩. ফ্রোজেন ফুড এড়িয়ে চলুন।
৪. ফাস্টফুডে প্রচুর পরিমানে লবন থাকে, ফাস্টফুড কম খান।
৫. রান্নার ধরনের পরিবর্তন আনুন। যাতে লবন কম থাকে।
৬. সন্তানকে শৈশব থেকেই কম লবনযুক্ত খাবারে অভ্যস্ত করুন।
মন্তব্য চালু নেই