লন্ডনে আটকে আছে বিএনপি

দেখতে দেখতে এক মাসের বেশি সময় দেশের বাইরে অবস্থান করছেন বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়া।এরই মধ্যে তার দেশে ফেরার কয়েকটি তারিখের কথা শোনা গেছে। যদিও ফেরা নিয়ে এখনো নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারছেন না শীর্ষ নেতারাও।তবে ফেরার খবর না জানলেও বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা তাকিয়ে আছেন লন্ডনের দিকে। কারণ দলের চেয়ারপারসন দেশের বাইরে থাকায় আটকে আছে গুরুত্ব্পূর্ণ অনেক সিদ্ধান্ত।

দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দলীয়ভাবে স্থানীয় নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া,পুনর্গঠনের সঠিক তদারকি,ডিসেম্বরে দলের জাতীয় কাউন্সিলের ভাবনার বিষয়গুলো অনেকটা থেমে আছে।

চেয়ারপারসন দেশে ফিরলে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। এছাড়াও বিএনপির বেশ কয়েকটি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কমিটিও আটকে আছে।চেয়ারপারসন দেশে ফেরার পর এসব সংগঠনের নতুন কমিটি হওয়ার কথা রয়েছে।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর চোখের চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।এরপর তার দেশে ফেরা নিয়ে চলতি মাসে অন্তত তিনটি তারিখ ছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার একটি চোখে অস্ত্রোপচার হয়েছে। অন্যটিতে অস্ত্রোপচার করা দরকার।এছাড়া তার হাঁটুর চিকিৎসাও চলছে।হাঁটুতেও অস্ত্রোপচারের সম্ভাবনা আছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির একজন মধ্যম সারির নেতা জানান, “দ্বিতীয় চোখে অস্ত্রপচার হলে তার ফেরায় আরো বিলম্ব হবে।সেক্ষেত্রে আগামী মাসের তৃতীয় সপ্তাহ হতে পারে।”

যদিও ৭ নভেম্বর সিপাহী বিপ্লব দিবসে বিএনপি আয়োজিত অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া থাকবেন বলে আশা করছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ।

এদিকে লন্ডন যাওয়ার পর থেকেই খালেদা জিয়া কবে দেশে ফিরবেন তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গণে নানা ধরণের কথা শোনা যায়।কথা বলেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারাও।খালেদা জিয়ার আর দেশে ফিরবেন না আওয়ামী শিবির থেকে এমন বক্তব্যও দেয়া হচ্ছে।

অন্যদিকে চিকিৎসার জন্য গেলেও দলের চেয়ারপারসনের লন্ডন সফরকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন,দল পুনর্গঠনের কাজ শুরু হওয়ার পরপরই তিনি লন্ডনে গেছেন।সেখানে চিকিৎসার পাশাপাশি দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে দলের ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হবে।সেই আলোকেই আগামীতে দল পরিচালিত হবে।

এদিকে লন্ডন যাওয়ার পর থেকে চিকিৎসাসহ সার্বিক বিষয় তারেক রহমান নিজেই দেখভাল করছেন বলে জানা গেছে। তাকে সহায়তা করছেন স্ত্রী ডা.জোবায়দা রহমান।এছাড়া খালেদা জিয়ার অন্যান্য কর্মসূচিতেও কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে।প্রয়োজন ছাড়া কোনো নেতা চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাচ্ছেন না।

এছাড়া সফরের শুরু থেকেই লন্ডন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সংবর্ধনা দেয়ার কথা বলে আসছে। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে গোপনীয়তার অবলম্বন করা হচ্ছে।তবে ৩০ অক্টোবর এ সংবর্ধনার সম্ভাবনা আছে।

দিন তারিখ উল্লেখ না করলেও সংবর্ধনার বিষয়টি যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এমএ মালেক সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, “চেয়ারপারসনের চিকিৎসা চলছে। আমাদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি দেশে ফিরবেন।”ঢাকাটাইমস



মন্তব্য চালু নেই