লতিফকে গ্রেপ্তার না করলে ঢাকা ঘেরাও!

প্রাক্তন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা লতিফ সিদ্দিকী দেশে ফেরার পরও তাকে গ্রেফতার করা না হলে ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।
রোববার রাতে এক বিবৃতিতে হেফাজতের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী এ হুঁশিয়ারি দেন।

আহমদ শফির পক্ষে হেফাজতের মুখপাত্র আজিজুল হক ইসলামাবাদ বলেন, ‘বাংলার মাটিতে লতিফ সিদ্দিকীর মতো স্বঘোষিত নাস্তিক-মুরতাদের জায়গা হবে না। অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তা না হলে ঢাকা ঘেরাওয়ের মতো কঠোর কর্মসূচী থেকে পিছপা হবে না হেফাজত।’

এদিকে আওয়ামী লীগ ও মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কৃত আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেফতার না করলে লাগাতার হরতাল ও অবরোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সম্মিলিত ইসলামি দলের নেতারা।

সম্মিলিত ইসলামি দলের মুখপাত্র ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সোমবার এ বিষয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

প্রসঙ্গত, ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের একটি হোটেলে সেখানকার টাঙ্গাইল সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি কিন্তু হজ আর তাবলিগ জামাতের ঘোরতর বিরোধী। আমি জামায়াতে ইসলামীরও বিরোধী। তবে তার চেয়েও হজ ও তাবলিগ জামাতের বেশি বিরোধী।’

তিনি বলেন, ‘এ হজে যে কত ম্যানপাওয়ার (জনশক্তি) নষ্ট হয়। হজের জন্য ২০ লাখ লোক আজ সৌদি আরবে গিয়েছে। এদের কোনো কাজ নাই। এদের কোনো প্রডাকশন নাই। শুধু রিডাকশন দিচ্ছে। শুধু খাচ্ছে আর দেশের টাকা দিয়ে আসছে।’

ধর্মীয় অনভূতিতে আঘাত হানার জন্য মন্ত্রিসভা ও আওয়ামী লীগের দলীয় সদস্য পদ থেকে বাদ পড়েন লতিফ সিদ্দিকী। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ঢাকা ও দেশের ১৮টি জেলায় ২২টি মামলা হয়। আদালতে হাজির না হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে প্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়।

এদিকে জানা গেছে, বিমানবন্দর ত্যাগ করে ধানমণ্ডির বাসভবনে গেছেন লতিফ সিদ্দিকী। রোববার রাত ৯টা ২৬ মিনিটে তিনি ইমিগ্রেশনের সব আনুষ্ঠানিকতা সেরে পুলিশ প্রহরায় একটি প্রাইভেট কারে করে বাসায় যান। এখন সেখানেই অবস্থান করছেন। একাধিক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় যেকোনো মুহূর্তে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।



মন্তব্য চালু নেই