‘লঞ্চে যাব না, আমি ফেরিতে চড়ব মা’

‘আমি কখনো ফেরিতে চড়ি নাই, এবার আমাকে ফেরিতে চড়াতে হবে। কিন্তু লঞ্চে যাব না।’ মৃত্যুর আগে লঞ্চে ওঠার আগে এমনই শেষ আকুতি করেছিল ৬ বছরের শিশু মারজানা।

গতকাল রোববার পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে কার্গোর ধাক্কায় ডুবে যাওয়া লঞ্চের ৬৯ জন হতভাগ্য নিহত যাত্রীর মধ্যে মারজানাও রয়েছে। শুধু তার মাকেই নয়, বড় বোন পারুলের কাছেও একই আবদার করছিল এই শিশুকন্যা। কিন্তু নিয়তির কি নির্মম পরিহাস। ভাই ও দুই বোন তিনজনই আজ না ফেরার দেশে চলে গেছে।

ফেরিতে চড়ার স্বপ্ন তার আর পূরণ হলো না। হলো না বাড়িতে ফেরা। নিহত মারজানা, মাছুম ও পারুলের বড় ভাই নান্নু মোল্লা জানান, তার মা বেদেনা বেগম (৪৫), ছোট ভাই মাছুম (১২), দুই বোন পারুল (২২) ও মারজানা (৬) ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। দুর্ভাগ্যক্রমে তারা লঞ্চ দুর্ঘটনার শিকার হন। তাদের পরিবারের এই চারজনের মধ্যে এখন তাদের মা জীবিত আছেন, বাকি দুই বোন ও এক ভাই না-ফেরার দেশে চলে গেল।

একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত তিন ভাইবোনের বাড়ি রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের বেতাঙ্গা গ্রামে। তাদের বাবার নাম ইয়ার আলী মোল্লা।



মন্তব্য চালু নেই