লজ্জা থাকলে সংসদে যাবে না সেলিম ওসমান

লজ্জা থাকলে সেলিম ওসমান আগামী সংসদ অধিবেশনে যাবেন না বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

রোববার (২২ মে) দুপুরে লাঞ্ছিত শিক্ষখ শ্যামল কান্তি ভক্তের চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে উপস্থিত হলে এ মন্তব্য করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ গড়ার করিগরের সাথে এ ধরনের আচরণ আমাদের জন্য লজ্জার। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছি, এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে।’

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় যে ধরনের প্রতিবাদ হয়েছে, তাদের (যারা ঘটিয়েছে) প্রতিবাদের ভাষা বোঝা উচিত। আমি মনে করি, তারা নৈতিকভাবে পরাজিত হয়েছে। ওই সংসদ সদস্যের (সেলিম ওসমান) যদি লজ্জা থাকে তাহলে তিনি অধিবেশনে যোগ দেবেন না।’

এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঢামেকের নতুন ভবনের ১০৭ নম্বর কেবিনে শ্যামল কান্তি ভক্তকে দেখতে যান। সেখানে ওই শিক্ষকের স্ত্রী সবিতা হালদারও উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মন্ত্রী তাদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘চিকিৎসার ব্যাপারে কোনো ত্রুটি হবে না। নিরাপত্তার বিষয় নিয়েও দুশ্চিন্তা করবেন না।’

তিনি বলেন, ‘শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। আমি মনে করি ওই সংসদ সদস্যের ক্ষমা চাওয়া উচিত। এই ধরনের ঘটনার মাধ্যমে তিনি সকল সংসদ সদস্যকে অপমান করেছেন।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি ( সেলিম ওসমান) জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য। জাতীয় পার্টিরও দায়িত্ব রয়েছে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার।’

চিকিৎসাধীন শিক্ষককে হত্যার হুমকি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটায় তারা মানবতার শত্রু। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার কথা বলেছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমাদের অবস্থান কঠোর।’

লাঞ্ছিত শিক্ষকের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘উনি শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন। উনার অনেকগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। তবে লাঞ্ছনার শিকার হওয়া একজন শিক্ষক মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। আমরা উনার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছি। উনি যত দিন চান এখানে চিকিৎসা নিতে পারেন।’

পরে শ্যামল কান্তি ভক্তের চিকিৎসায় যেন কোনো প্রকার ত্রুটি না হয় সে বিষয়ে সার্বক্ষণিক নজর রাখতে মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এনামুল করিমসহ অনান্য চিকিৎসকদের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।

এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মাদ নাসিমের সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলের পরিচালক ব্রি. জে. মিজানুর রহমান, বিএমএ মহাসচিব ইকবাল, ঢামেকের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ড. এ এ গফুর প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই