লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূকে গণধর্ষণের পর হত্যা
লক্ষ্মীপুরে ৫ সন্তানের জননী গৃহবধূ রুনু আক্তারকে গণধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যার ঘটনায় গিয়াস উদ্দিন ও নাছির উদ্দিনসহ ৯জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের মা তহুরা বেগম বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানা এ মামলা দায়ের করেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে হাসানসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে সকালে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
ঘটনার মূল হোতা ধর্ষক গিয়াস উদ্দিন ও নাছিরসহ অন্যদের ধরতে সদর ও চন্দ্রগঞ্জ থানা যৌথ অভিযান শুরু করেছে। এদিকে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন জানান, রুনুর ময়নাতদন্ত সম্পূর্ন হয়েছে। তাকে যৌন নির্যাতনের পর মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার সীমান্তবতী চন্দ্রগঞ্জ থনার গন্ধব্যপুর গ্রামে গভীররাতে আবদুল মান্নানের স্ত্রী রুনু আক্তারকে নিজ ঘর থেকে তুলে নিয়ে যায় প্রতিবেশী গিয়াস উদ্দিন ও নাছিরসহ ১০/১২জন সন্ত্রাসী। এরপর ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণের পর গলাটিপে হত্যা করে বিবস্ত্র অবস্থায় লাশ পাশের পুকুরে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
বুধবার বিকেলে গৃহবধূর লাশ পুকুরে ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে বিকেলে পুলিশ পুকুর থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নিহত গৃহবধূর রুনু আক্তারের তিন মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে। ছোট সন্তানের বয়স দেড় বছর। নিহত গৃহবধূ গন্ধব্যপুর গ্রামের আবদুল মান্নানের স্ত্রী। তার স্বামী আবদুল মান্নান ঢাকায় একটি বেসরকারী সংস্থায় কর্মরত রয়েছে।
ঘটনার পর থেকে গিয়াস উদ্দিন ও নাছিরসহ অন্যরা এলাকা থেকে পলাতক রয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে জড়িত গিয়াস উদ্দিন ও নাছিরসহ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শস্তির দাবী করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। বর্তমানে মামলার বাদীকে বিভিন্ন হুমকি ধমকি দিচ্ছে সন্ত্রাসীরা।
মন্তব্য চালু নেই