লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে সন্ত্রাসীর মৃত্যুতে মিষ্টি বিতরণ!

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা ২নং দক্ষিণ হামছাদীর ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী রবিউল নিহতের পর মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল হয়েছে। এলাকাবাসী ফেলছে স্বস্তির নিঃশ্বাস। উল্লাস করছেন অনেকেই। এক পর্যায়ে আনন্দ মিছিল বের করে এলাকাবাসী। পুরো দক্ষিণ হামছাদীতে মিষ্টি বিতরণ করে তার অত্যাচারে অতিষ্ট ও নির্যাতিত ভুক্তভোগীরা। জগতের যে কোনো মৃত্যুই তো শোকের, অশ্রু বিসর্জনের। চিরবিদায়টা সবাইকেই কাঁদায়, বিষণ্ণতায় ভরে দেয় মন। সেজন্যই কবি আকুল হয়ে বলেছিলেন, যেতে নাহি দিব হায়..।
কিন্তু এ আবার কেমন মৃত্যু? যে মৃত্যুতে মন বিষণ্ণতায় ভরে ওঠে না, কেঁদে ওঠে না? শোকের পরিবর্তে যেখানে স্বস্তি আর উল্লাস, অশ্রু বিসর্জনের পরিবর্তে যেখানে হয় মিষ্টি বিতরণ! হামছাদী এলাকার ছানা উল্যাহ হাজীবাড়ির মৃত জাফর আহম্মদের ছেলে রবিউল। ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলতে পারতো না। এলাকায় সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজি, চুরি-ডাকাতি, হত্যা-ধর্ষণ, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপকর্মের হোতা বলে পরিচিত ছিলেন এই রবিউল। তার বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে। তার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে এলাকা থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে থাকতেন অনেকেই।
গত ৩ এপ্রিল নিজ বাড়ির সামনে একটি চায়ের দোকানে মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রবিউলকে গুলি করে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে এলাকাবাসীর আতঙ্ক কেটে নেমে আসে স্বস্তি। তার ভয়ে এতদিন যারা আত্মগোপন করেছিলেন তারা ফিরে আসেন এলাকায়। শোকের বদলে দেখা গেছে রীতিমত উল্লাস, আনন্দের মিছিল।
ইউপি চেয়ারম্যান মীর শাহআলম জানান, রবিউল ব্যক্তি হিসেবে ভালো ছিল না। সে একজন সন্ত্রাসী। তাকে যারা হত্যা করেছে তারাও সন্ত্রাসী। এলাকাবাসী জানান, এই রবিউলের হাতে এলাকায় তৈরি হয়েছে অসংখ্য সন্ত্রাসী। তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন রবিউলের ভাই কুখ্যাত সন্ত্রাসী শফিক। এ কারণে রবিউলের মৃত্যুত স্বস্তি ফিরলেও নতুন করে গত কয়েকদিন ধরে চলছে চাপা গুঞ্জন। যারা উল্লাস আর আনন্দ মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের মধ্যে দেখা গেছে কিছুটা আতঙ্ক।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন জানান, দক্ষিণ হামছাদীর তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ছিলেন রবিউল। তার বিরুদ্ধে সদর থানায় বিভিন্ন অভিযোগ মামলা রয়েছে।


মন্তব্য চালু নেই