সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী
লংমার্চে বাধা দিলে জনগণ বিচার করবে
তিস্তা অভিমুখে বিএনপির লংমার্চ কর্মসূচিতে বাধা এলে জনগণ তার জবাব দেবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। শুক্রবার বেলা সোয়া ৩টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এটা বিএনপির শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি। সব দায়িত্ব নিয়েই এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।’
লংমার্চ কর্মসূচি নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা যে বক্তব্য দিয়েছেন তার কঠোর সমালোচনা করে রিজভী আহমেদ বলেন, ‘তাদের কাছে স্বাধীনতা স্বার্বভৌত্ব বিপন্ন। আমার দেশের সম্পদ অন্যের হাতে তুলে দিতে তারা অভ্যস্ত। মূলত তারা প্রভুর স্বার্থ রক্ষা করতে চায়।’
রিজভী আহমেদ বলেন, ‘তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে আগামী ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার ঢাকা থেকে তিস্তা অভিমুখে লংমার্চ সফল করার অংশ হিসেবে বিভিন্ন মানুষকে সম্পৃক্ত করতে উত্তরাঞ্চলের সব জেলা ও উপজেলাসহ যেসব জেলার ওপর দিয়ে লংমার্চ অতিক্রম করবে সেসব জেলা উপজেলায় নানাবিধ প্রচারমূলক কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’
রিজভী আহমেদ আরো বলেন, ‘রিজাওয়ানা হাসানের স্বামী আবু বকর সিদ্দিককে অপহরণের ঘটনায় কারা জড়িত তার জবাব সরকার কখনোই দেবে না। কারণ জনগণের কাছে জবাবদিহিতাকে অসম্মানজনক মনে করে তারা। যেমন গুম হওয়া ইলিয়াস আলীর সন্ধান সরকার দিতে পারেনি। যদিও প্রধানমন্ত্রী ফিরিয়ে দেয়ার ওয়াদা করেছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন দুপুরে বা রাত্রীর অন্ধকারে এতো মর্মান্তিক ঘটনা ঘটছে অথচ সরকার উদাসীন নির্লিপ্ত। প্রধানমন্ত্রী যেন রক্তকবরির রাজার মতো নিজ দেশের জনগণের ওপর দুঃশাসনের অচলায়তন নির্মাণ করে যাচ্ছেন। এগুলোর সাথে যে রাষ্ট্রের তত্ত্বাবধায়করাই জড়িত সেটি জানতে কারো কী বাকি আছে? ৫ জানুয়ারির হাস্যস্পদ ঠাট্টা ইয়ার্কী-মার্কা নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী রূপকের রানী হয়ে উঠেছেন।’
মন্তব্য চালু নেই