লংকানদের সামনে আফগান চ্যালেঞ্জ!

যে দল বাংলাদেশের কাছে হারে তারা কিভাবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন একটা দলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারে? এই প্রশ্নটাই মনে আসা স্বাভাবিক। কিন্তু আপনি যখন জানবেন এই আফগানরা তাদের দেশে প্রতিনিয়ত থাকেন হুমকির মুখে।
এই বুঝি আত্মঘাতি বোমা হামলা হলো..! জীবনযুদ্ধে কঠিন চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে করতে মানসিকভাবে তারা অনেক শক্তিশালি। ক্রিকেীঁয় শক্তির বিচারে আফগানিস্তানের চেয়ে শ্রীলংকা যোজন যোজন এগিয়ে থাকলেও মানসিকতায় অবশ্যই এগিয়ে আফগানরা।
তা ছাড়া প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে আসা আফগানদের হারানোর কিছু নেই। যাই পাওয়া যাবে সেটা যোগ হবে প্রাপ্তির খাতায়। শ্রীলংকার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা উল্টো। তারা হেরে গেলে মানসম্মান নিয়ে টানাটানি শুরু হবে। স্বাভাবিকভাবেই লংকানরা সেই ঝুঁকি নিতে চাইবে না ।
তাছাড়া বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৯৮ রানে হেরে এমনিতেই চাপে রয়েছে শ্রীলংকা। রোববার আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেই চাপ ঝেড়ে ফেলে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের দল চাইবে নতুন করে বিশ্বকাপটা শুরু করতে। আর আফগানরা চাইবে বিশ্বমঞ্চে আরও বেশি পরিচিত হতে। এটা করতে হলে তো তাদের জয়ই চাই। বাংলাদেশ সময় ভোর চারটায় ডুনেডিনে মুখোমুখি হবে দু’দল।
আফগান কোচ অ্যান্ডি মোলস টপ অর্ডারে পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দিয়েছেন। একাদশে জাভেদ আহমেদির জায়গায় ডাক পেতে পারেন ১৮ বছর বয়সী ওসমান গণি। গণি ১২টি ওয়ানডে খেলেছেন। সেঞ্চুরি করেছেন একটি। গড় ৪৭.৮০। শ্রীলংকা দলেও আসতে পারে পরিবর্তন। পেসার নুয়ান কুলাসেকারার স্থান নিতে পারেন তরুণ দুশমন্ত চামারা। যার অভিষেক হয়েছে গত মাশ্রীলংকা-আফগানিস্তান এ পর্যন্ত একবারই মুখোমুখি হয়েছে গত বছর এশিয়া কাপে। যেখানে আফগানরা হেরেছিল ১২৯ রানের বড় ব্যবধানে। তারপরও লংকান অধিনায়ক ম্যাথিউস আফগানিস্তানকে হালকাভাবে নিচ্ছেন না। তার ভাষায়, ‘আমরা জানি আফগানিস্তান সবসময়ই ইতিবাচক এবং আক্রমনাত্মক ক্রিকেট খেলে। আপনি তাদের হালকাভাবে নিতে পারেন না। আমরা আমাদের সেরা একাদশটাই খেলাব।’
শ্রীলংকা (সম্ভাব্য): তিলকরতেœ দিলশান, লাহিরু থিরিমান্নে, কুমার সাঙ্গাকারা, মাহেলা জয়াবর্ধনে, ডিমুথ করুনারতেœ, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস (অধিনায়ক), জীবন মেন্ডিস, রঙ্গনা হেরাথ, লাসিথ মালিঙ্গা, সুরঙ্গা লাকমল এবং দুশমন্ত চামারা।
আফগানিস্তান (সম্ভাব্য): জাভেদ আহমেদি, আফসার জাজাই, নওরোজ মঙ্গল, আসগর স্ট্যানিকজাই, সামিউল্লাহ শেনওয়ারি, মোহাম্মদ নবী (অধিনায়ক), নাজিবুল্লাহ জাডরান, মিরাসিস আশরাফ, আফতাব আলম, হামিদ হাসান এবং শাপুর জাদরান।



মন্তব্য চালু নেই