রৌমারীতে কাঁঠাল খেয়ে ৪পরিবারের ৩০জন হাসপাতালে

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : রৌমারী উপজেলার যাদুর চর ইউনিয়নের বকবান্ধা গ্রামে শনিবার সকালে কাঁঠাল খেয়ে চার পরিবারের ৩০ সদস্য অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। পরে নিকট আত্মীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করে।

বকবান্ধা গ্রামের মেম্বার সিরাজুল ইসলাম জানান, ঐ গ্রামের মাসুদ মিয়ার কাঁঠাল গাছ থেকে ৪টি পাকা কাঁঠাল পেড়ে শনিবার সকালে নিকট আতিœয় চার পরিবারের মধ্যে ভাগ করে নেয়। অপর পরিবার তিনটি হলো-মজিবর রহমান, আনোয়ার, আনিছুর রহমান। পরে এই চার পরিবারের ৩০ সদস্য সকালের পান্থা’র সাথে এই কাঁঠাল খায়। এরপর সকলে অসুস্থ্য হয়ে পরে। মাথাঘুরে বমি হয় এবং পাতলা পায়খানা দেখা দেয়। এ পরিস্থিতিতে আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশীরা তাদের দ্রুত রৌমারী হাসপাতালে ভতি করে।

রৌমারী হাসপাতালের চিকিৎসক অলক কুমার সরকার জানান, খাদ্য বিষক্রিয়ার কারনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ বিষক্রিয়ার ঘটনা কাঁঠাল না পান্থা ভাতের কারনে হয়েছে তা পরীক্ষ না করে বলা সম্ভব না। অসুস্থ্যরা হলেন-মাসুদ, আলেয়া, রাকিব, মাধবী, সোহেল, মজিবর রহমান, রিমা, রিয়াদ, মিম, আনোয়ার, আতোয়ার, আঁখি, আইরিন, আফছানা, ফুলবানু, সোমাইয়া, আনিছ, আলেয়া বেগম, জেলিনা, কাওছার, কামরুন্নাহার, ফুলরানী, হুমায়ূন, জাফর আলী, জামরুল, জাবুর আলী, অনন্যা,জুলেখা বেগম ও বাদল। সবাই আশংকা মুক্ত বলে তিনি দাবি করেন।

গৃহবধূ আলেয়া বেগম জানান, সে পান্থা খায়নি। শুধু কাঁঠাল খেয়েছেন। খাওয়ার কিছুখন পর মাথাঘোরা শুরু হয় আর বমিবমি ভাব। এরপর পেট মোচর দিয়ে শুরু হয় পাতলা পায়খানা। এত খারাপ অবস্থা যে ল্যাট্রিন যাওয়ার সময় পাওয়া যায়না। হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ারপর বিকাল থেকে কিছুটা ভাল। বেশী খারাপ অবস্থা অন্ত:স্বত্ত্বা কামরুন্নাহার ও ফুলরানীর অবস্থা খুব খারাপ।



মন্তব্য চালু নেই