রোববার সারাদেশে বিক্ষোভ করবে বিএনপি

‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে ৭ জানুয়ারি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে না দেয়ার প্রতিবাদে রোববার ( ৮ জানুয়ারি) সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বিএনপি।
রোববার দেশের প্রতিটি জেলা, থানা, উপজেলা, বিভাগীয় শহর ও রাজধানীর প্রতিটি থানায় এ কর্মসূচি পালিত হবে।
শনিবার বেলা পৌনে ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
রিজভী বলেন, বিক্ষোভ কর্মসূচি বলতে কেউ যদি বিক্ষোভ মিছিল করে আবার কেউ যদি বিক্ষোভ সমাবেশ করতে চায় তাহলে তাই করতে পারবে।
এদিকে বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে শনিবার সকাল থেকেই নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কার্যালয়ের সামনে রাখা হয়েছে পুলিশ প্রিজনভ্যান, জল কামান, এবং এপিসি কার। এছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানও ঘিরে রাখে পুলিশ। সেখানে কাউকে ঢুকতে দেয়া হয়নি।
তাছাড়া সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিএনপি সমর্থিত তিন কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কার্যালয়ের সামনে দায়িত্বরত মতিঝিল জোনের এডিসি শিবলী নোমান বলেন, প্রতিটি রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনেই পুলিশ
সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকে। তবে বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় শুধু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়। এর বাইরে কিছু না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, দলের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানা উল্লাহ মিয়া, সহ-দফতর সম্পাদক বেলাল আহমেদ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি। এরপর থেকেই ৫ জানুয়ারিকে গণতন্ত্র হত্যা দিবস হিসাবে পালন করে আসছে দলটি। ২০১৬ সালে ৫ জানুয়ারি নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি পেলেও এবার রাজধানী সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং নয়াপল্টনে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েও অনুমতি পায়নি দলটি। যদিও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ৫ জানুয়ারিকে ‘গণতন্ত্রের বিজয়’ দিবস হিসাবে পালন করে থাকে।
মন্তব্য চালু নেই