রোজা রেখেও মিথ্যা বলেন খালেদা : আশরাফ
রোজা রেখেও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মিথ্যা বলেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যুবলীগ আয়োজিত ইফতার মাহফিলে যোগ দিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, রাজনীতিতে কথায় কথায় খালেদা জিয়া মিথ্যাচার করেন। আমি এখানে কোনো মিথ্যা কথা বলব না। কারণ আমি রোজা রাখি। রোজা রেখে মিথ্যা কথা বললে রোজ হয় না। তাকে ইফতার পার্টিতে একটা সত্য কথাও বলতে শুনিনি। একটা মিথ্যা কথা বার বার সত্য সত্য সত্য বললে সত্য হয়ে যায়। কিন্তু এক সময়ে সত্য সত্যই হয়। আর মিথ্যা মিথ্যাই, সত্য সত্যই। তিনি রোজাও রাখেন। আবার মিথ্যা কথাও বলেন। একজন মুসলমান রোজা রেখে মিথ্যা কথা বলতে পারেন না। তাহলে রোজা কবুল হয় না।
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি একবার মিথ্যা বলে পার পেতে পারেন। কিন্তু বার বার মিথ্যা বলে পার পাবেন না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনি (খালেদা) আল্লাহর ওয়াস্তে রোজার মাসে মিথ্যাচার পরিহার করুন। জ্বালাও-পোড়াও বন্ধ করুন। তাহলে এই দেশের ভাগ্যে পরিবর্তন আসবে। জ্বালাও-পোড়াও করলে এই দেশেরই ক্ষতি হবে। রোজা-রমজানের দিনে আপনাদের কাছে বলতে চাই। আর যেন একজন মানুষও রাজনৈতিক কারণে হত্যা না হয়।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, উনি নির্বাচনে আসলেন না। বাস পোড়ালেন, ট্রেন পোড়ালেন। এই পাপের প্রায়শ্চিত্ত হবে। বাংলার মাটিতেই তার বিচার হবে।
মন্ত্রী বলেন, আপনি (খালেদা) ডেমোক্রেসিকে বিতাড়িত করবেন। তাতে গণতন্ত্র হবে না। গণতন্ত্র একটি প্রক্রিয়া। আপনি গণতন্ত্রের পথে আসুন। না হলে দেশে অশুভ শক্তি আসতে পারে।
আশরাফ বলেন, আসুন সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। ৫৪ সালে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গিয়েছে।
বঙ্গবন্ধু বলতেন আমরা জানি সামরিক শাসনের অধীনে নির্বাচনে জিততে পারব না। তিনি বললেন নির্বাচনে শুধু জয় লাভ হলে হবে না। নির্বাচনের মাধ্যমে ভোটারের ঘরে ঘরে গিয়ে বলতে হবে আপনার ভোটাধিকার নেই। পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতির অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছিল। বঙ্গবন্ধুর একই কথা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার মূল ভিশন জনগনের দ্বারে দ্বারে যাওয়া। নির্বাচন ছাড়া জনগণের কাছে যাওয়া যায় না। এরশাদ ও জিয়ার স্বৈর-শাসনের সময়ও আওয়ামী লীগ নির্বাচন বয়কট করেনি। আওয়ামী লীগ সব সময় নির্বাচনে গিয়েছে।
তিনি যুবলীগের উদ্দেশ্যে বলেন, যুবলীগ যুবকদের রাজনৈতিক দল। অত্যন্ত দক্ষ সংগঠন। আওয়ামী লীগের সঙ্গে কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে এক সঙ্গে কাজ করছে। এ কারণেই আমরা বার বার যুবলীগের সভায় আসি। আমি যুবলীগকে আওয়ামী লীগের পরেই বলি। আপনারাই আমার ভবিষ্যত। আপনারা আগামী দিনের রাজনীতি আরো দক্ষ ও গঠনমূলক আবদান রাখতে পারবেন।
আওয়ামী যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শহিদ সেরনিয়াবাতের সভাপতিত্বে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদ, ফারুখ হোসেন, মাহবুবুর রহমান হিরণ, অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন, অধ্যাপক এবিএম আমজাদ হোসেন, অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু, ডা. মোখলেসুর রহমান হিরু, সিরাজুল ইসলাম মোল্লা এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আসুদল হক আসাদ, অধ্যক্ষ নবী নেওয়াজ এমপি, উত্তর যুবলীগের সভাপতি মাঈনুল হোসেন খান নিখিল, দক্ষিণ সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই