রোজাদারের জন্য জরুরি ১০টি মাসআলা !

রোজাদারের জন্য জরুরি কিছু মাসআলা দেওয়া হলো-

১) রোজাদার ব্যক্তি ভুলে এক বা একাধিকবার পানাহার করলে অথবা স্ত্রী সহবাস করলে তাঁর রোজা নষ্ট হবে না। (সূত্র : বেহেশতি জেওর, খ- ৩, পৃষ্ঠা ১৪, কুদুরি, পৃষ্ঠা ৪৫)।

২) রোজা রেখে চোখে সুরমা ব্যবহার করা, শরীরে তেল মাখা অথবা আতর ইত্যাদির সুঘ্রাণ নেওয়া বৈধ। (সূত্র : বেহেশতি জেওর, খ- ৩, পৃষ্ঠা ১০)।

৩) রাতে গোসল ফরজ হলে সুবহে সাদিকের আগেই গোসল করে নেওয়া উচিত। এরপরও কেউ গোসল না করলে এমনকি সারাদিনও যদি গোসল না রাখে, তাতে রোজা নষ্ট হবে না। ফরজ গোসলে দেরি করার জন্য পৃথক গোনাহ হবে। (সূত্র : ইলমুল ফিকাহ, খ- ৩, পৃষ্ঠা ৩১)।

৪) এমনিতেই যদি হঠাৎ করে গলার ভেতরে মশা-মাছি, ধোঁয়া বা ধুলোবালি চলে যায়, তাতে রোজা নষ্ট হবে না। ইচ্ছাকৃতভাবে এমন করলে রোজা ভেঙে যাবে। (সূত্র : ফাতাওয়া আলমগিরি, খ- ১, পৃষ্ঠা ২৯৮)।

৫) নাকের পথ দিয়ে পানি ঢুকলে এতে রোজা নষ্ট হবে না। তবে যদি পানি নাক থেকে গলার মধ্যে চলে আসে, তাহলে রোজা নষ্ট হয়ে যাবে। (সূত্র : ইমদাদুল ফাতাওয়া, খ- ১, পৃষ্ঠা ১৭২)।

৬) কুলি করার পর পানির যে আর্দ্রতা মুখের মধ্যে থেকে যায় তা গিলে ফেলার দ্বারা রোজা নষ্ট হয় না। শর্ত হলো, কুলি করার পর দুয়েকবার মুখের থুথু ফেলে দিতে হবে। কারণ কুলি করার পরও মুখের ভেতর কিছু পানি থেকে যায়। এভাবে থুথু ফেলে দেওয়ার পরও মুখে পানি অথবা ভেজা কিছু থেকে গেলে তাতে কোনো ক্ষতি নেই। (সূত্র : ইলমুল ফিকাহ, খ- ৩, পৃষ্ঠা ৩২)।

৭) রোজা অবস্থায় মুখের জমাকৃত থুথু ও লালা গিলে ফেলার কারণে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না। দাঁতের ফাঁকে কোনো খাদ্যদ্রব্য আটকে থাকলে তা যদি খিলাল বা জিহ্বা দিয়ে বের করে ফেলা হয়, তাহলে রোজা নষ্ট হবে না। কিন্তু ওই খাদ্যদ্রব্যের পরিমাণ যদি একটি বুট অথবা এর চেয়ে বেশি পরিমাণের হয়, তাহলে তাতে রোজা ভেঙে যাবে। (সূত্র : কিতাবুল ফিকহি, খ- ১, পৃষ্ঠা ৯২০)।

৮) দাঁতের ফাঁকে গোশত বা সুপারির অংশ অথবা অন্য কোনো বস্তু আটকে থাকলে খিলাল করার মাধ্যমে তা বের না করে ধরুন গিলে ফেলল। এ অবস্থায় ওই খাদ্যদ্রব্য যদি একটি চানা বুটের পরিমাণ অথবা এর চেয়ে বেশি পরিমাণের হয়, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। এর কম হলে রোজা ভাঙবে না। তবে তা যদি মুখ থেকে বের করে এনে পরে গিলে ফেলে, তখন এই পরিমাণের চেয়ে খাদ্যদ্রব্য কম হলেও রোজা ভেঙে যাবে। (সূত্র : ফাতাওয়া আলমগিরি, খ- ১, পৃষ্ঠা ২০৮)।

৯) মুখ দিয়ে রক্ত বের হলে সেই রক্ত থুথুর সঙ্গে গিলে ফেললে তাতে রোজা ভেঙে যাবে। তবে থুথুর চেয়ে রক্তের পরিমাণ কম হলে এবং গিলে ফেলার সময় রক্তের অনুভূতি অনুভব না হলে তাতে রোজা নষ্ট হবে না। (সূত্র : বেহেশতি জেওর, খ- ৩, পৃষ্ঠা ১১)।

১০) সেহরির সময় কোনো ব্যক্তি এত পরিমাণ খেয়েছে যে, সূর্যোদয়ের পর তার মধ্যে ঢেকুর আসতে শুরু করে। সঙ্গে পানিও বের হয়। এর দ্বারা রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। (সূত্র : ফাতাওয়া রশিদিয়া, পৃষ্ঠা ৩৭১)।



মন্তব্য চালু নেই