রোগ প্রতিরোধে দারুচিনির গুণ

মিষ্টি স্বাদের ঝাঁঝযুক্ত মসলা দারুচিনিকে কমবেশি সবাই চিনি। খাদ্য উপাদানের মধ্যে এই মসলা সবচেয়ে বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ভেষজ। দারুচিনি খাবারের স্বাদকে বাড়িয়ে দেয় অনেক বেশি। সুগন্ধি মসলা হিসেবে দারুচিনি ব্যপকভাবে পরিচিত। শুধু রান্নায় নয়, শরীরের নানা রোগ প্রতিরোধে দারুচিনি খুব কার্যকরী। প্রতি ১০০ গ্রাম দারুচিনিতে রয়েছে ২৭০ কিলোক্যালরি, ফ্যাট ১.২ গ্রাম, সোডিয়াম ১০ গ্রাম, পটাসিয়াম ৪৩১ মিলিগ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৮১ গ্রাম, প্রোটিন ৪ গ্রাম। দারুচিনির গুণ সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

– উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ভেষজ দারুচিনি শরীর থেকে নানা রকম ক্যানসারের জীবানু ধ্বংস করতে খুবই কার্যকর।

– প্রতিদিন আধা চা চামচ দারুচিনির গুঁড়া রক্তে ক্ষতিকারক কোলস্টেরল এলডিএল এর মাত্রা কমাতে সক্ষম। রক্তে শর্করার মাত্রা নিষন্ত্রণ করে এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসের রোগীদের শারীরিক সুস্থতা দানে সহায়তা করে।

– ইস্ট ছত্রাক ঘটিত সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে দারুচিনির গুণাবলী চমৎকার ভাবে কাজ করে।

– হৃদরোগে আক্রান্তদের জন্যেও দারুচিনি খুব উপকারী। এটি রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে।

– দারুচিনি পেটের অ্যাসিডিটির সমস্যা ও ব্যথা উপশম করতে সহায়তা করে। রাতে শোবার আগে দারুচিনির সঙ্গে হরিতকীর গুঁড়া মিশিয়ে খেলে পেট পরিষ্কার হয়। অ্যাসিডিটি রোধ করতে মধুর সঙ্গে দারুচিনি মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

– দারুচিনি লিম্ফোসাইটিক লিউকোমিয়ার বিস্তার রোধ করতে সাহায্য করে। রক্ত জমাট না বাঁধার অসুখ হিমোফিলিয়া প্রতিরোধ করতে দারুচিনি বিশেষ ভূমিকা রাখে।

– বাতের ব্যথা ও শরীরের হাড়ের ব্যথায় আধা চামচ দারুচিনির গুঁড়ো এক চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ব্যথা দূর হয়। তাছাড়া, দারুচিনি মিশ্রিত সরিষার তেল গায়ে মালিশ করলে ব্যথা ভালো হয়।

– ঠাণ্ডায় গলা ব্যথা বা খুশখুশে কাশিতে মধু চায়ের সঙ্গে দারুচিনি মিশিয়ে নিলে আরাম পাওয়া যায়।

– ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে দারুচিনি, দূর্বাঘাস ও হলুদ সমপরিমানে বেটে মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ রোধ করতে দারুচিনি উপকারী।

– নিয়মিত দারুচিনি খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।

– আর্থারাইটিসের সমস্যায় যারা ভুগছেন তারা এক কাপ গরম পানির মধ্যে দু চামচ মধু আর দারুচিনি গুঁড়া মিশিয়ে সকাল সন্ধ্যা খেতে পারেন।



মন্তব্য চালু নেই