রেলওয়ে পুলিশের নির্যাতনে মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু!
জামালপুর রেলস্টেশনে রেলওয়ে (জিআরপি) পুলিশের নির্যাতনে আবদুল বারী নামের এক মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।
নিহত মুক্তিযোদ্ধার পারিবারিক সূত্র জানায়, মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আবদুল বারীর ছোট ছেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএর ছাত্র মাজহারুল ইসলাম বাবু সোমবার সকাল সোয়া ৫টার দিকে রাজশাহী যাওয়ার উদ্দেশে জামালপুর স্টেশনে আসেন। ৫ আপ ট্রেনে তাঁর রাজশাহী যাওয়ার কথা। কিন্তু টিকেট থাকা সত্ত্বেও জিআরপি পুলিশ সদস্যরা তাঁকে আটক করে টিকেট কালেক্টারদের কক্ষে আটকে রাখেন। অন্য লোকদের মাধ্যমে খবর পেয়ে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল বারী ছেলেকে ছাড়িয়ে আনতে দুপুর ১২টার দিকে স্টেশনে যান। স্টেশনে ছেলেকে ছাড়ানোর চেষ্টার সময় পুলিশ আবদুল বারীর ওপর চড়াও হয়। জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌরচন্দ্র মজুমদারের উপস্থিতিতে পুলিশ স্টেশনের প্লাটফরম এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাকে প্রকাশ্যে বেদম পিটিয়ে আহত করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ময়মনসিংহে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে বেলা পৌনে ৩টার দিকে তিনি মারা যান।
ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জামালপুরের জেলা কমান্ডার সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম খোকা জানিয়েছেন, জিআরপি থানার ওসিসহ অন্য সদস্যরা প্রকাশ্যে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল বারীকে অমানবিকভাবে পিটিয়ে আহত করেন। অবিলম্বে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ময়মনসিংহ থেকে মৃতদেহ আসার পর আমরা দোষীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করব।’
এ ব্যাপারে জামালপুর জিআরপি থানার ওসি গৌরচন্দ্র মজুমদার বলেন, স্টেশনে বিনা টিকেটের যাত্রীদের আটক অভিযান চলছিল। এ সময় ওই মুক্তিযোদ্ধার ছেলেকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়া হয়। মুক্তিযোদ্ধা আবদুল বারী স্টেশন প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে পুলিশকে লক্ষ করে গালিগালাজ করলে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটলে তিনি মাটিতে পড়ে গিয়ে আহত হন। মৃত্যুর বিষয়টি তিনি জানেন না।
মন্তব্য চালু নেই