রুক্ষ শুষ্ক ঠোঁটের উপশমে ৫টি ঘরোয়া উপায়

মুখের সৌন্দর্যের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হলো ঠোঁট। সুন্দর গোলাপী ঠোঁট নারীকে করে তোলে আকর্ষণীয়। কিন্তু ঠোঁটের প্রধান শত্রু রুক্ষতা। শীত চলে গেলেও বাতাসের শুষ্কতা রয়ে গেছে যার কারণে ঠোঁট হয়ে ওঠে রুক্ষ, শুষ্ক, প্রাণহীন। ভ্যাসলিন বা গ্লিসারিন লাগানোর পরও এই রুক্ষতা দূর হয় না। আবার অনেকে সারা বছর ঠোঁটের রুক্ষতা সমস্যায় ভোগেন। সাধারণত ভিটামিনের অভাব, অ্যালার্জির কারণ, পানিশূন্যতা, আবহাওয়ার পরিবর্তন ইত্যাদি কারণে সারা বছর ঠোঁট ফাটে। ঘরোয়া উপায়ে এই সমস্যার দূর করা সম্ভব। আসুন তাহলে উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক।

১। নারকেল তেল

সবচেয়ে সহজলভ্য একটি উপাদান হলো নারকেল তেল। ত্বকের রুক্ষতা দূরে আদিকাল থেকে এটি ব্যবহার হয়ে আসছে। নারকেল তেলের ময়েশ্চারাইজিং উপাদান ঠোঁট ফাটা রোধ করে। এমনকি পা ফাটা দূর করতেও নারকেল তেল বেশ ভালো।

২। মধু

মধুর অসাধারণ নিরাময় ক্ষমতা রয়েছে। ঠোঁটের উপর মধু সরাসরি ব্যবহার করুন। তারপর ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মধু বেশি আঠালো মনে হলে মধুর সাথে পানি মিশিয়ে নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

৩। দুধ

ত্বক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে দুধ বেশ কার্যকর। রুক্ষ ঠোঁটের উপর কিছু পরিমাণ দুধ ব্যবহার করুন। দুধ এবং গোলাপের পাপড়ি একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। এই মিশ্রণটি ঠোঁটে ব্যবহার করুন। ১৫-২০ মিনিট রাখুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে এটি ঠোঁটে এক ধরনের গোলাপী আভা নিয়ে আসবে।

৪। গ্লিসারিন

ঠোঁট নরম করতে প্রতিদিন গ্লিসারিন ব্যবহার করতে পারেন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে গ্লিসারিন ব্যবহার করুন। সকালে পানি দিয়ে ঠোঁট ধুয়ে ফেলুন আর দেখুন ম্যাজিক।

৫। দুধের সর

দুধের সরে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট রয়েছে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে কিছু পরিমাণে দুধের সর লাগিয়ে নিন। সারারাত এভাবে রাখুন। পরের দিন সকালে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি প্রতিদিন ব্যবহার করুন। ঠোঁট ফাটা সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পেয়ে যাবেন।

৬। চিনির স্ক্রাব

মৃত চামড়া রুক্ষ, শুষ্ক ঠোঁটের জন্য দায়ী। রুক্ষ, শুষ্ক চামড়া দূর করার জন্য স্ক্রাব সবচেয়ে বেশি কার্যকর। ঠোঁটের জন্য চিনি এবং মধুর স্ক্রাব সবচেয়ে ভালো। মধুর সাথে কিছু পরিমাণ চিনি মিশিয়ে নিন। এটি ঠোঁটে চক্রাকারে ম্যাসাজ করুন। সপ্তাহে একবার এটি ব্যবহার করুন।

সূত্র: বোল্ডস্কাই



মন্তব্য চালু নেই