রিজার্ভ চুরি : বাংলাদেশ ব্যাংকের জড়িতরা শনাক্ত
রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের জড়িত কর্মকর্তাদের শনাক্ত করেছে পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)।
সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ও রিজার্ভ চুরি ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তা রিজার্ভ চুরিতে সহায়তা করেছেন, যাদের আমরা সুনির্দিষ্টভাবে শনাক্ত করেছি। দেশি-বিদেশি কিছু লোকের সহায়তায় তারা ব্যাংকের কম্পিউটার সিস্টেমকে শুরু থেকেই অরক্ষিত করে রেখেছিল; যা হ্যাকারদের হ্যাকিং করতে সুযোগ করে দিয়েছে।
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘প্রথম থেকেই আমাদের সন্দেহ ছিল এদেশের ব্যাংক থেকেও হ্যাকারদের সহায়তা করা হয়েছে। এই অসাধু চক্রটি প্রথমে গোপন তথ্য দিয়ে হ্যাকারদের সহায়তা করে। হ্যাকাররা ব্যাংকের নিরাপত্তার তথ্য জেনে যায়। পরে তারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে ফেলে। এরপরই হ্যাক করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা ও বিদেশি মিলে মোট ২৩ জন শনাক্ত করা হয়েছে। রিজার্ভ চুরির আগে তারা পাঁচটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করেছিলেন।
ফেব্রুয়ারির ঘটনার পর থেকেই সিআইডির একটি বিশেষজ্ঞ দল তদন্তে নামে। ব্যাংকের ভেতর অনেক ইলেকট্রনিক প্রমাণ খতিয়ে দেখে।
সিআইডির একটি সূত্র বলছে, এর সঙ্গে অনেকেই জড়িত। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিলিং রুমের সার্ভার ও কম্পিউটার থেকে মুছে ফেলা হয়েছিল সব তথ্য। দুটি বিভাগের প্রধানসহ আরো কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসব কাজ করে। এদের মধ্যে আইটি বিভাগের লোকজনের সংখ্যাই বেশি। হ্যাকাররা সরাসরি তাদের সহযোগিতা নিয়ে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে। সুবিধাজনক সময় টাকাগুলো তুলে নেয়। সুইফট মেসেজিং সিস্টেমে জালিয়াতির আশ্রয় নেয় হ্যাকাররা।
২৯ ফেব্রুয়ারি ফিলিপাইনের পত্রিকা ইনকোয়েরারের প্রতিবেদনে রির্জাভ চুরির ঘটনার প্রথম তথ্য প্রকাশ পায়। ওই সময় বলা হয়, ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে গচ্ছিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে প্রায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার হাতিয়ে নিতে চেয়েছিল হ্যাকাররা। এ প্রচেষ্টায় দুই ধাপে প্রায় ১০১ মিলিয়ন ডলার লোপাট করলেও ৮৭০ মিলিয়ন ডলার পাচারে ব্যর্থ হয় তারা। এরপরই মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
মন্তব্য চালু নেই