রিজার্ভ চুরির তদন্তে অগ্রগতির আভাস সিআইডির

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির তদন্তে অগ্রগতির আভাস দিয়েছে সিআইডি। দিনভর বাংলাদেশ ব্যাংকের নানা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পর সিআইডির অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক শাহ আলম বলেছেন, আমরা কাজ শুরু করেছি। শুরু ভালো হয়েছে, কিছু অগ্রগতিও আছে।আমাদেরকে কাজ করতে দিন, সহায়তা করুন।আমরা আশাবাদি। তদন্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সহযোগিতা পাচ্ছি।

রাজধানীর মতিঝিল থানায় দায়ের করা মামলা তদন্ত করতে আজ বেলা ১১টার দিকে সিআইডির অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক শাহ আলমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ব্যাংকে যান। পরে তারা ডেপুটি গভর্নর রাজী হাসানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।প্রথম দিন তারা জানার চেষ্টা করেন যে, বাংলাদেশ ব্যাংকে কী ভাবে কাজ হয়। অর্থ ট্রান্সফারে কারা কারা জড়িত- এসব জানার চেষ্টা করেন।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলা নম্বর ১৩।

মতিঝিল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওমর ফারুক জানান, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) এর ৪ সহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন ২০০৬ এর ৫৪ ধারায় ও ৩৭৯ ধায়ায় মামলাটি গ্রহণ করা হয়।

তিনি জানান, লোপাট যাওয়া অর্থের পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে ১০১ মিলিয়ন ডলার।

সম্প্রতি নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে গচ্ছিত বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৮০০ কোটি টাকা চুরি হয়। পরে জানা যায়, এর মধ্যে ৮১ মিলিয়ন ডলার ফিলিপাইনের আরবিসি ব্যাংকের একটি শাখার পাঁচটি অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত হয়েছে। এ অর্থ পরে ফিলিপাইনের তিনটি ক্যাসিনো হয়ে হংকং চলে যায় বলে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে। এরপর বিষয়টি নিয়ে সারাদেশে তোলাপাড় শুরু হয়। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় গভর্নর পদত্যাগ করেছেন। এছাড়া দুই ডেপুটি গভর্নর, সচিবসহ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেয়া হয়।



মন্তব্য চালু নেই