রাঙামাটিতে এশায়াত মাহফিল :

রাসুল (দঃ)’র আদর্শের সৈনিকরা কখনো বিপথগামী হবে না : অধ্যক্ষ ছৈয়্যদ মুনির উল্লহ্

কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের মোর্শেদে আজম আওলাদে রাসূল হযরতুলহাজ্ব আল্লামা অধ্যক্ষ ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ আহমদী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী বলেছেন, ক্বলবে সদা আল্লাহভীতি জাগ্রত এবং কর্ম ও চিন্তা-চেতনায় প্রিয় রাসুল (দঃ)’র আদর্শে আদর্শিত সৈনিক তথা যুব সমাজ কখনো বিপথগামী হবে না। বরং তাঁরা সর্বদা ইসলামের সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থেকে ইহকালীন ও পরকালীন জীবনকে করে তোলে শান্তি ও সাফল্যময়। আর এ ক্ষেত্রে নূরে মুহাম্মদীর রওশনে হেদায়তের প্লাবনে দেশ-বিদেশের লাখো যুবককে আলোর পথে ফিরিয়ে আনার মধ্যে দিয়ে এক যুগান্তকারী আধ্যাত্মিক বিপ্লব ঘটিয়ে চলছেন শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ সংস্কারক আওলাদে মোস্তফা, খলিফায়ে রাসুল (দঃ) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী।

তিনি গতকাল শুক্রবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) ও ফাতেহায়ে এয়াজদাহুম উদ্যাপন উপলক্ষে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ ১২০নং রাঙামাটি শাখার উদ্যোগে রাঙামাটি পৌরসভা চত্বরে আয়োজিত এশায়াত মাহফিলে উপস্থিত হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমানের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।

তিনি আরও বলেন, দ্বীন, দেশ ও জাতির কল্যাণে নিবেদিত কালজয়ী মনিষী কাগতিয়ার গাউছুল আজম প্রতিষ্ঠিত অরাজনৈতিক আধ্যাত্মিক সংগঠন মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী প্রচার করছে এহসান তথা অন্তর্দৃষ্টি উম্মীলনের শিক্ষা। এলম ও আমল খালেছ করার পদ্ধতি সম্পর্কে মুসলমানদেরকে করছে আরও সচেতন।

মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটির এশায়াত মাহফিলকে ঘিরে সপ্তাহ জুড়ে পুরো রাঙামাটি শহরের প্রধান সড়ক কোরআন, হাদিস ও গাউছুল আজমের বাণী সম্বলিত ফেস্টুন ও ব্যানারে সজ্জিত করা হয়। স্থানীয় সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মাঝে এক অভূতপূর্ব সাড়া পড়ে। যার ফলে মাহফিলে স্থানীয় আলেম, শিক্ষক, সাংবাদিক, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার মুসলিম ছাত্র ছাড়াও ব্যবসায়ীদের সমাগম ঘটে।

রাঙ্গামাটি পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী ভুট্টোর সভাপতিত্বে মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন চবি মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান শাহ আমানত হলের প্রভোষ্ট প্রফেসর ড. আবুল মনছুর, অধ্যাপক মুহাম্মদ তসলিম উদ্দীন, অধ্যাপক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, অধ্যাপক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক মুহাম্মদ অলি আহাদ, অধ্যাপক মুহাম্মদ মঈনুল ইসলাম। প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক মুহাম্মদ ফোরকান মিয়া।

সভাপতির বক্তব্যে জনাব সাইফুল ইসলাম চৌধুরী ভুট্টো বলেন, মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটির সাথে সংশ্লিষ্ট হাজার হাজার যুবকের শৃঙ্খলা, বিনয় ও তাকওয়া সত্যিই অন্যদেরকেও সহজে আকৃষ্ট ও অনুপ্রাণিত করবে। দেশের ওঠতি কিশোর-কিশোরীরা আজ বিজাতীয় পোষাক-পরিচ্ছেদ ও পশ্চিমা অপসংস্কৃতির দিকে ঝুকে পড়েছে। যার ফলে তাদের মাঝে অশ্লীলতা ও মাদকাসক্তির হার দ্রুত বিস্তার লাভ করছে। আর এ সংকট উত্তরণে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটির গৃহীত আধ্যাত্মিক কার্যক্রম বিরাট ভূমিকা রাখবে।

এতে অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন মুনিরীয়া তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ ওলামা পরিষদের সচিব আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ ইব্রাহীম হানফী, কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল এম. এ. মাদরাসার মুহাদ্দিস আল্লামা কাজী মুহাম্মদ আনোয়ারুল আলম ছিদ্দিকী, মুহাদ্দিস আল্লামা মুহাম্মদ আশেকুর রহমান, মাওলানা মুহাম্মদ সেকান্দর আলী প্রমুখ।

মিলাদ ও কিয়াম শেষে হুজুর ক্বেবলা দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং দরবারের প্রতিষ্ঠাতা কাগতিয়ার গাউছুল আজমের দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন।



মন্তব্য চালু নেই