রাশিয়া বিশ্বকাপ কি অনিশ্চিত আর্জেন্টিনার?

২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল থেকে সরাসরি চারটি দল খেলার সুযোগ পাবে। আর একটি দল ইন্টার কনফেডারেশন্স কাপে প্লে অফ খেলে সুযোগ করে নিতে পারবে।

এই অঞ্চলের দশটি দল রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে খেলবে। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা চারটি দল সরাসরি ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে। পঞ্চম স্থানে থাকা দলটি প্লে-অফ খেলে যদি জয় পায় তাহলে সুযোগ পাবে বিশ্বকাপে।

ইতিমধ্যে এই অঞ্চলের সবগুলো দল ১১টি করে ম্যাচ খেলে ফেলেছে। আর ৭টি করে ম্যাচ বাকি রয়েছে। ১১ ম্যাচ শেষে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ব্রাজিল।

২৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উরুগুয়ে। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলম্বিয়া। ১৭ পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে ইকুয়েডর ও চিলি রয়েছে চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে।১৬ পয়েন্ট নিয়ে আর্জেন্টিনা অবস্থান করছে ষষ্ঠ স্থানে।

ব্রাজিল ও উরুগুয়ের সঙ্গে আর্জেন্টিনার পয়েন্ট ব্যবধান যথাক্রমে ৮ ও ৭। বাকিদের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান ২ ও ১। আর্জেন্টিনার ম্যাচ বাকি রয়েছে ৭টি। টানা দুই-তিনটি ম্যাচে জয় পেলেই কলম্বিয়া, ইকুয়েডর ও চিলিকে পেছনে ফেলে তৃতীয় স্থানে উঠে আসা সম্ভব মেসিদের পক্ষে।

১৫ নভেম্বর ঘরের মাঠে কলম্বিয়ার বিপক্ষে খেলবে তারা। এই ম্যাচে জয় পেলেই আর্জেন্টিনা নিরাপদ জোনে চলে আসবে। ২০১৭ সালের ২৩ মার্চ খেলবে চিলির বিপক্ষে। ২৮ মার্চ বলিভিয়ার মাঠে খেলতে যাবে আর্জেন্টিনাা। চিলি আর বলিভিয়ার বিপক্ষের ম্যাচের ভবিষ্যত বাণী করা একটু কঠিন।

৩১ আগস্ট উরুগুয়ের কাছ থেকে আতিথ্য নিবে মেসি-হিগুয়েনরা। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে ভেনেজুয়েলা আর পেরুকে ঘরের মাঠে আতিথ্য দেবে আলবিসিলেস্তারা। আর শেষ ম্যাচে ১০ অক্টোবর তারা খেলবে ইকুয়েডরের বিপক্ষে। শেষ দিকে দুটি ম্যাচ ঘরের মাঠে খেলবে আর্জেন্টিনা। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ভেনেজুয়েলা ও পেরু। এই দুটি ম্যাচে জয় পেলেই রাশিয়া বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে। তবে জয়ের বিকল্প নেই আর্জেন্টিনার সামনে এখন। যত কম সংখ্যক ম্যাচ তারা হারবে ততোই তাদের সম্ভাবনা বাড়তে থাকবে।

রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে সাতটি ম্যাচের কমপক্ষে ৩টিতে জিততে হবে। প্রতিপক্ষ বিচারে আর্জেন্টিনার জন্য তিনটি জয় কঠিন কিছু নয়। তার সঙ্গে কয়েকটা ড্র তো থাকতেই পারে। তবে ব্রাজিলের বিপক্ষে আজ যেভাবে ছন্নছাড়া পারফরম্যান্স করেছে সেভাবে খেললে হয়তো বিপদই অপেক্ষা করছে আর্জেন্টিনার জন্য।

তবে আর্জেন্টিনা রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলতে পারবে না, এখনই তেমন কিছু ভেবে রাখা অদূরদর্শীর সামিল। শেষ দুই কিংবা তিন ম্যাচে গিয়ে অবস্থাটা বোঝা যাবে। তা ছাড়া আরো এক বছরে আর্জেন্টিনা অভিজ্ঞ ও তরুণদের মিশেলে অপ্রতিদ্বন্দ্বি একটি দল হয়ে উঠতে পারে। সময়টা হয়তো খারাপ যাচ্ছে আর্জেন্টিনার। এ অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য দারুণ একটি জয়ই যথেষ্ট।



মন্তব্য চালু নেই