হঠকারি সিদ্ধান্ত সুন্দরবনকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, সরকারের হঠকারি সিদ্ধান্ত সুন্দরবনকে নিশ্চিত ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প জনবিরোধী ও দেশের স্বার্থবিরোধী।

তিনি বলেন, ‘এ প্রকল্প বাতিলের জন্য আমরা সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। এ দাবির পক্ষে সোচ্চার হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

গুলশানের দলীয় কার্যালয়ে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বেগম জিয়া এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, একদিকে পদ্মা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র পানিপ্রবাহ মারাত্মকভাবে কমে গেছে। এর ফলে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে ব্যাপক মরুকরণ শুরু হয়েছে। এখন দক্ষিণাঞ্চলে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হলে সুন্দরবন ধ্বংস হলে বাংলাদেশ আর বাসযোগ্য থাকবে না।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জায়গা অনেক আছে। তবে সুন্দরবনের কোনো বিকল্প নেই।

রামপাল রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বড় অগ্রহণযোগ্য দিক হচ্ছে, এটি বাংলাদেশের জন্য অলাভজনক। এই প্রকল্পের ১৫ শতাংশ অর্থ জোগান দেবে বাংলাদেশের পিডিবি, ১৫ শতাংশ ভারতীয় কোম্পানি এনটিপিসি এবং বাকি ৭০ শতাংশ ঋণ ব্যাংক থেকে নেওয়া হবে। দ্বিগুণেরও বেশি মূল্যে রামপাল থেকে বিদ্যুৎ কিনে পিডিবিকে অবশ্যই ভর্তুকি দিয়ে জনগণের কাছে বিক্রি করতে হবে বলে পিডিবি’র লভ্যাংশ শেষ পর্যন্ত লোকসানে পরিণত হবে। যোগ করেন খালেদা।

এ সময় তিনি সরকারকে প্রশ্ন করে বলেন, পরিবেশ বিবেচনায় না নিলেও জেনেশুনে এমন একটি লোকসানি প্রকল্পে সরকার কি উদ্দেশে এবং এই প্রকল্পে কার স্বার্থে জড়নো?

খালেদা বলেন, সুন্দরবনের এত কাছে স্থাপিত কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের অনিবার্য অশুভ ও মারাত্মক ক্ষতিকর। সব প্রমাণ উপস্থাপনের পরেও সরকার তার অবস্থান পরিবর্তনে শুধু অস্বীকৃতি জানাচ্ছে না, বরং আরও দ্রুত এ গণবিরোধী দেশবিরোধী বাস্তবায়নে উদ্যোগী হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হলো, এ সরকার স্বৈরাচারী বলেই জনমত বা দেশের স্বার্থ পরোয়া করে না।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, এ কেন্দ্র হলে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হবে এবং পরিবেশ নষ্ট হবে, পানি দূষিত হবে। বনাঞ্চলের পশু পাখির জীবনচক্র ক্ষতির মধ্যে পড়বে। তিনি বলেন, জনগণের চাহিদা মেটানোর জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন সময়ের দাবি। কিন্তু সেই উদ্যোগ বাস্তবায়নে জনস্বার্থ বা জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।



মন্তব্য চালু নেই