রাব্বি দম্পতি হত্যায় বড় ছেলের দায় স্বীকার

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান হোসেতে বাংলাদেশি দম্পতি হত্যাকাণ্ডে তাদের বড় ছেলে হাসিব বিন গোলাম রাব্বি স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে সে দেশের পুলিশ।

শুক্রবার সান হোসের পুলিশ নিহত দম্পতির দুই ছেলের বিরুদ্ধে আদালতে ‘হত্যার অভিযোগ’ ও দুই ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য দাখিল করে।

জেলা অ্যাটর্নি অফিস জানায়, ওই দম্পতির বড় ছেলে হাসিব বিন গোলাম রাব্বি তার বাবাকে কয়েক দফা গুলি চালিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। কারণ তাদের বাড়িতে নাম না জানা একজন লোক এসে তাকে এটা করতে বলে। ওই লোকই কয়েক দফা গুলি চালিয়ে তার মাকে হত্যা করে বলে জানায় হাসিব।

তবে আদালতের নথিতে দেখা যায়, রাব্বি দম্পতির ছোট ছেলে ওমর জানিয়েছে তার ভাই যখন তার বাবা-মাকে হত্যা করে তখন সে বাড়ির ভেতরে ছিল।এ সময় অন্য কোনো লোকের উপস্থিতির বিষয়ে ওমর কিছু বলেনি।

গোলাম রাব্বী (৫৯) ও শামীমা রাব্বীকে (৫৭) হত্যার দায়ে দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করে তাদের জামিনঅযোগ্য আটকাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে হাসিব বাবাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।

ওমর তদন্তকারীদের বলেছে, তার ভাই হাসিবই বাবা-মা’কে খুন করে। খুনের পরপরই ওকল্যান্ডের এনিম কনভেনশনে চলে যায় তারা।’

পুলিশ জানায় বলেন, গোলাম রাব্বীকে হত্যার পর হাসিব ওমরকে মৃতদেহ পর্দা দিয়ে ঢেকে দিতে বলেন। এরপরই হাসিব তার মাকে হত্যা করেন।

এর আগে কারাগারে থাকা অবস্থায় সান ফ্রান্সিসকো ক্রনিকলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হাসিব তার ছোট ভাইকে ‘নির্দোষ’ দাবি করে পুরো ঘটনা খুলে বলার আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। তবে আইনজীবীর উপস্থিতিতে তিনি তা বলবেন বলে জানান।

রোববার বিকেলে সানে হোসের বাড়ি থেকে রাব্বি দম্পতির গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় তাদের দুই ছেলে বাড়িতে ছিল না। এর দুই দিন পর ২৬ এপ্রিল প্রথমে ছোট ছেলের সন্ধান পায় পুলিশ। তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বড় ছেলে হাসিবকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ট্র্যাসি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই