রাবির রহমতুন্নেছা হলে তালাবদ্ধ আবাসিক শিক্ষক

ইয়াজিম ইসলাম পলাশ, রাবি প্রতিনিধি : শিক্ষার্থীদের সাথে অসদাচরণের অভিযোগে হল থেকে অপসারণের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যায়ের রহমতুন্নেছা হলের আবাসিক শিক্ষককে তার নিজ কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখে হলের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. রোকনুজ্জামান হলের শিক্ষার্থীদেরকে আশ্বস্ত করে তাকে উদ্ধার করে।

হল সূত্রে জানা যায়, প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষক পাক নেহাদ বানুর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে দুর্ব্যবহার অভিযোগ করে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। তারা প্রশাসনের কাছেও অভিযোগ করে ওই দুই শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয় তারা সুধরে যাবেন। কিন্তু দুই শিক্ষক বিভিন্ন সময়ে আবাসিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে থাকেন। আগের ঘটনার জেরেই আজ বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পাক নেহাদ বানুকে তার কক্ষে তালাবদ্ধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হলের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, হলের আবাসিক শিক্ষক পাক নেহাদ বানু আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এর আগেও আমরা হলের বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার কথা তুলে ধরে হল প্রাধ্যক্ষ ও সহকারী আবাসিক শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করেছিলাম। তখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলেছিলো সব ঠিক হয়ে যাবে। ছাত্র উপদেষ্টা আমাদেরকে বলেছিলেন কোন সমস্যা থাকবে না। কিন্তু কিছুই ঠিক হয়নি।

পাক নেহাদ আবারো শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেছেন। কোন কোন শিক্ষার্থী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত তা খুজে বের করে পাক নেহাদ তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এরপর এ সমস্যার সমাধান না হলে আমরা আবারো কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আবাসিক শিক্ষকের পাক নিহাত বানুর কাছে তারা যেকোন সমস্যা নিয়ে গেলে তিনি তাদের প্রশ্ন করে বলে তারা কি পূর্ববতী আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল কি না। যদি কেউ আন্দোলনে অংশ নিয়ে থাকে তাহলে তাদের সমস্যা ভালোভাবে দেখা হয়না। এমনকি ভিডিও ফুটেজ দেখে আন্দোলনে অংশকারীদের ছাত্রত্ব বাতিল করার হুমকিও দেন তিনি।

এদিন সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আবাসিক শিক্ষক নেহাত বানুকে তার নিজ কক্ষে তালাবদ্ধ করে রেখেছে শিক্ষার্থীরা। কক্ষের বাহিরে শতাধিক শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন বলেন, ওই হলের শিক্ষার্থীরা হলের অব্যবস্থাপনা এবং এক কর্মকর্তার খারাপ ব্যবহারসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা আমাকে জানিয়েছিলেন। আমি ভেবেছিলাম হলের শিক্ষকরা সুধরে যাবেন। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি। এখন নতুন করে সবার সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রহমাতুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ মিলি জেসমিন ও আবাসিক শিক্ষিকা পাক নেহাদ বানুর পদত্যাগ দাবিতে হলের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে।



মন্তব্য চালু নেই