আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন

রাধিকার কিছু যায় আসে না

বাঙালি মনে রাধিকা আপ্তে মানে ‘যাও পাখি’র মেয়েটা। কিন্তু সেই মেয়ের নগ্ন ছবি হঠাৎ ছড়িয়ে গেল নেটে। ক্ষুদ্ধ-ব্যথিত পরিচালক অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী লিখছেন তাঁর মনের কথা
ঝাউতলার একটা ছোট বাড়িতে আমি আর সিনেমাটোগ্রাফার অভীক মুখোপাধ্যায় গানটা কী ভাবে শুট করব তার প্ল্যানিং করছি। কথাবার্তা শেষ। এবারে টেকের জন্য ক্যামেরা রেডি। যে মেয়েটা এতক্ষণ সেটে সবার সঙ্গে বাচ্চার মতো মিশছিল, ক্যামেরা অন করতেই সে যেন পরিপূর্ণ, সদ্য প্রেমে পড়া এক নারীতে পরিণত হলো।
গানটা আজও বহু মানুষের কলার টিউন… ”যাও পাখি বলো… হাওয়া ছলোছলো।”
এবং সেই অভিনেত্রীর নাম রাধিকা আপ্তে।
রাধিকাগত পরশু থেকে শুনছি ওর একটি ন্যুড ভিডিও নাকি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ইন্টারনেটে। অনুরাগ কাশ্যপের একটা ইন্টারন্যাশনাল ফিল্মের ক্লিপ যেটা কোনোভাবে লিক করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেটে। সেটা ইচ্ছে করে করা হয়েছে কি হয়নি সেই ডিবেটে আমি যাচ্ছি না। আমার শুধু এইটুকুই বলার, রাধিকার কিছু এসে যায় না এই সবে। আমার মতে রাধিকা এই প্রজন্মের একজন দুর্দান্ত অভিনেত্রী যে সব রকম রোল করতে প্রস্তত। ভালো রোলের খিদেটাই ওকে আজকে এই জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। না হলে দেড় কোটি টাকার একটি ছোট ছবির (‘অন্তহীন’-এর বাজেট তাই ছিল) জন্য ওর যা ইনভলভমেন্ট আমি দেখেছি, তা অতুলনীয়। দিনের পর দিন পড়ে থেকেছেhttp://ournewsbd.com/wp-admin/post-new.php কলকাতায়। বাংলা ভাষা শিখতে চেয়েছে। বাঙালি খাবার খেয়েছে।
আজ ওর ভাইরাল ভিডিওর খবর পেয়ে এইটুকুই বলব, আমার বেশি খারাপ লাগছে ওই বিকৃত রুচির মানুষগুলোর জন্য যারা ইন্টারনেটে এই ক্লিপটা রিলিজ করেছে। প্রযুক্তির অপব্যবহার ছাড়াও এটি কুরুচিপূর্ণ মনের পরিচয়। একটি স্মল ফিল্মের এই ‘আউট অব কনটেক্সট’ ক্লিপটা যারা হোয়াটস্যাপ কি ইউটিউবে রিলিজ করেছে, অবিলম্বে তাদের শাস্তি পাওয়া উচিত। আর আমি যদি রাধিকাকে একটু হলেও চিনি তা হলে জানি, রাধিকা একটাই কথা বলবে ”ও টনি আই অ্যাম নট বদার্ড অ্যাট অল। ছাড়ো তো এ সব।”
এটাই রাধিকা। স্বতঃস্ফূর্ত, সেনসেটিভ, আবেগপ্রবণ, এবং সাংঘাতিক বড় মাপের অভিনেত্রী যে অনেক গভীরে গিয়ে যেকোনো চরিত্রকে জীবন্ত করে তুলতে পারে। আমার ‘অন্তহীন’-এর নায়িকা। আমার ‘যাও পাখি বলো…. হাওয়া ছলো ছলো’-র সেই পরিপূর্ণ নারী।



মন্তব্য চালু নেই