রাতে যে ১০টি খাবার খেলেই পড়বেন মহাবিপদে!

কেই কি কখনো ভেবেছেন, রাতে আমরা যা খাচ্ছি তা স্বাস্থ্যসম্মত কিনা? রাতে কারো ভাত, কারো দুধ না খেলে ঘুম আসে না। অনেকের আবার রাতে ঘুমের আগে দুধ খাওয়া চাই-ই-চাই। অতিরিক্ত রাত জাগার কারণে অনেকেরই আবার রাতে ভাজাভুজি, চকোলেট খাওয়ার বদোভ্যাস থাকে।

এই সব বদোভ্যাস থেকে ওজন যেমন বাড়ে তেমনই শারীরিক সমস্যাও বাড়তে থাকে। তবে এমন ১০টি খাবার আছে, যা রাতে খেলে আপনার জন্য বিপদ আছে।

মিষ্টি: রাতে খাওয়ার পর মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই থাকে। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গিয়ে শরীরে শিথিলতা যেমন আসে, তেমনই ওজনও বাড়ে তরতর করে।

দুধ: রাতে শোওয়ার আগে অনেকেই গরম দুধ খান। তবে হোল মিল্ক না খেয়ে ফ্যাট ফ্রি দুধ খান। দুধের ল্যাকটোজ রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়।

সাদা ভাত: রাতে বাড়ি ফিরে জমিয়ে ভাত না খেলে অনেকেরই ঘুম আসে না। তবে পেশি সচল রাখতে রাতে ভাত না খাওয়াই ভাল।

পিজা: রাতে আলস্য লাগলে পিজা অর্জার দেওয়া খুবই কমন ব্যাপার। জানেন কি খারাপ কার্বহাইড্রেট ও স্যাচুরেটেড ফ্যাটে ভরপুর পিজা আপানার হজমের গন্ডগোল ঘটাতে বাধ্য?

স্পাইসি ফুড: রাতে বেশি তেল মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত্ নয় আমরা সকলেই জানি। মানি কি?

আলু ভাজা: রাতে ঘুম না এলেই মুচমুচে আলু ভাজা। পড়েই অনেকের জিভে জল আসছে। এর স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও সোডিয়াম শরীরের প্রচুর ক্ষতি করে।

ব্রকোলি: অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর খাবার। তবে রাতের জন্য নয়। এর প্রচুর পরিমাণ ফাইবার হজম হতে সময় নেবে। ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে।

অরেঞ্জ জুস: অনেকেই রাতে ঘুমনোর তেষ্টা মেটাতে, আবার মিষ্টি স্বাদ পেতে গলায় ঢালেন অরেঞ্জ জুস। এর অ্যাসিডিক প্রকৃতি হজমের সমস্যা বাড়ায়।

চকোলেট: বিশেষ করে ডার্ক চকোলেটের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ক্যাফেন। যা স্নায়ুর উদ্দীপনা বাড়িয়ে তোলে। ঘুমের সময় প্রয়োজন ঠিক উল্টটা।

আইস ক্রিম: আইস ক্রিমে থাকা সুগার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে মেটবলিজমে ব্যাঘাত ঘটায়।



মন্তব্য চালু নেই