রাণীশংকৈলের খুনিয়া দিঘীতে প্রতিনিয়ত ঘটে চলছে কুকুর নাম হায়নাদের তান্ডব
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার বোদ্ধ ভূমি নামক পরিচিত খুনিয়াদিঘীতে বেশ কিছু দিন থেকে কুকুরা দল বেঁধে একটি বড় ধরনের ছাগলকে আক্রান্ত করে খেয়ে ফেলেছে। বেশ কিছু কুকুর খুনিয়া দিঘীতে বসে থাকে প্রায় হিংস্র অবস্থায়। জানা গেছে ঐ এলাকায় সাধারণ মানুষের ছাগল ঘুড়াফেরা করলে সু-কৌশলে হিংস্র কুকুরগুলো অত্যান্ত সু-কৌশলে জীবন্ত ছিড়ে ছিড়ে খেয়ে ফেলে। অদ্যবদি বিষয়টি প্রশাসনের দৃষ্টি গোচর হয়নি।
এক সময় এই খুনিয়া দিঘিতে পাকিস্তানি হানাদারদের তান্ডবের প্রাণ কেন্দ্র ছিল। বিষয়টি এই এলাকার মানুষের সকলের জানা। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি সত্যিই রহস্য জনক! রাণীশংকৈল বাসী মনে করছে। বিভিন্ন ভাবে পৌর এলাকায় গরু জবেহ ও যত্রতত্র মাংস বিক্রি এবং বর্জ যেখানে সেখানে পরে থাকার দরুণ এ সমস্ত কুকুর মাংস, হাড় ও রক্ত খেয়ে মোটা তাজা হয়ে ভয়ংকর হয়নাদের মতো হয়ে ওঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জন পৌর কমিশনার বলেন এই কুকুরদের কবলে আমি নিজেই পড়েছিলাম। ফযরের নামাজের জন্য মসজিদে যেতে কুকুরগুলিকে দেখে রাস্তা ছেড়ে দিতে হয়েছিল। নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবেই। এমন অবস্থায় পৌর এলাকার সাধারণ মানুষ মানুষিক ভাবে কুকুর ভয়ে দিনানিপাত করছে। পৌর এলাকার সন্তোষজনক উন্নয়নের তেমন কোন ছাপ না থাকলেও আগামীতে হয়তো বা উন্নয়ন হতে পারে বলে একাধিক ব্যক্তি মন্তব্য করেন।
রাণীশংকৈল পৌর মেয়র মকলেসুর রহমানের সাথে ফোনে হিংস্র কুকুরের বিষয়টি জানতে চাইলে ‘সরকারের আইন, কুকুর মারা নিষেধ রয়েছে’, বলে তিনি জানান। পৌর এলাকায় রাতে প্রচন্ড মশার উপদ্রব বিষয়টি তাকে জানালে তিনি আসত্ব করেন মাত্র!
পৌর এলাকার প্রায় মানুষ মনে করছে উন্নয়ন এখন পর্যন্ত যা হয়েছে তা চোখে পড়ার মত নয়।
মন্তব্য চালু নেই