রাণীনগরে সরকারি বিদ্যালয়ের জায়গা জবর দখলের অভিযোগে মামলা ॥ গ্রেফতার-২

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা সদরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গায় প্রকাশ্য দিবালোকে জোরপূর্বক দোকান ঘড় নির্মাণের অভিযোগে ওই বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি সহ ৩ জনকে আসামী করে রাণীনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দুই জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সদরের ১নং মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ভবনের উত্তর পার্শ্বের খোলা জায়গায় স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সহযোগিতায় বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাফাত হোসেন ও প্রধান শিক্ষক অনিল কৃষ্ণ সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় প্রায় আড়াই মাস ধরে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়ায় প্রাচীর দিয়ে দোকান-ঘর নির্মাণের কাজ চালিয়ে আসছিল।

ইতিমধ্যেই নির্মাণকৃত দোকান ঘরগুলো মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক স্থাণীয় কিছু ব্যবসায়ীর কাছে গোপনে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে বুধবার বিকেলে বিদ্যালয়ের ওই স্থানে আসামীগণ হাতে লাঠি, সাবল নিয়ে বেআইনী ভাবে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অণধিকার প্রবেশ করে জোরপূর্বক ঘড় নির্মানের কাজ করছে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এক যোগে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই জনকে নির্মাণ কাজ করতে দেখে সাথে সাথে থানা পুলিশকে খবর দিলে ওই বিদ্যালয়ের পিয়ন লফির মোল্লা (৪০), আবু বক্কর মোল্লা (৫৮) কে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাফাত সহ অজ্ঞাতনামা ৬/৭জনের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনিল কৃষ্ণ সরকার বাদি হয়ে রাণীনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরুল ইসলাম পাটওয়ারী জানান, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দোকান ঘড় নির্মাণ কাজ করতে দেখতে পেয়ে প্রধান শিক্ষককে ডেকে দখলবাজের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের নিদের্শ দিই।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মজনুর রহমান জানান, উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনিল কৃষ্ণ সরকারের দায়িত্ব অবহেলার কারণেই কতিপয় প্রভাবশালী মহল প্রায় আড়াই মাস ধরে অবৈধ ভাবে দোকান ঘড় নির্মাণ করলেও আমাকে বিষয়টি না জানানোর কারণে তার বিরুদ্ধে বিভাগী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল-মাসউদ চৌধুরী জানান, সরকারি বিদ্যালয়ের জায়গা জবর দখলের অভিযোগে সাফাত সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৬/৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় ঘটনাস্থল থেকে দুই জনকে গ্রেফতার করি অন্য আসামীদের কে গ্রেফতার অভিযান অব্যহত আছে।



মন্তব্য চালু নেই