রাজনৈতিক দল গঠনের জন্যই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা : খাদ্যমন্ত্রী

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম মনে করেন, পঁচাত্তরে রাজনৈতিক দল গঠনের জন্যই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর মূল খুনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। কারণ তিনি পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে তার রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি জানতেন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা না করলে কোনো রাজনৈতিক দল গঠন কর যাবে না।’

শনিবার দুপুরে শিল্পকলা একাডেমির মহড়া কক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘শেখ হাসিনাই পারে শেখ হাসিনাই পারবে’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কামরুল বলেন, ‘জন্মদাতাকে ছাড়তে পারছে না বিএনপি। কারণ, একাত্তরে পরাজিত শক্তির জামায়াতে ইসলামির গর্ভ থেকেই বিএনপির জন্ম। তাই জন্মদাতাকে তারা ছাড়তে পারছে না।’

তিনি বলেন, ‘দেশে কোনো রাজনৈতিক সঙ্কট আছে বলে মনে হয় না। তাই এ মুহূর্তে নির্বাচন ও সংলাপের প্রয়োজন নেই। আমরা প্রতিনিয়তই জনগণের সঙ্গে সংলাপ করছি। আগামী পাঁচ বছর এ সংলাপ চালিয়ে যাব এবং তারা আমাদের ভোট দিয়ে আবার জয়যুক্ত করবে।’

তিনি দেশের বুদ্ধিজীবী সম্পর্কে বলেন, ‘তারেক রহমান বিদেশে বসে ইতিহাস বিকৃতি করেন আবোল তাবোল বলেন, আর বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীরা বক ধার্মিক হয়ে আছেন। তারা রাস্তার মাঝপথে হাঁটেন। তারা কোনো কথা বলেন না। এরা জ্ঞানপাপী। তার পরোক্ষভাবে বিএনপিকে উৎসাহ দিচ্ছে। এরা বিএনপির চেয়েও ভয়ঙ্কর।’

পদ্মাসেতু সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘যখন পদ্মাসেতু হওয়ার পথে ছিল তখন দেশের একজন স্বনামধন্য ব্যক্তি কূটকৌশল করে বাধা সৃষ্টি করেছিলেন। এখন পদ্মাসেতু হচ্ছে। আশা করি ২০১৮ সালের মধ্যেই পদ্মাসেতুর ওপর দিয়ে চলতে পারব।’

সংগঠনের সহ-সভাপতি অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি পীযুষ বন্দোপাধ্যায়, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ। অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালক বলরাম পোদ্দার, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদ অরুন সরকার রানা।

উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে তৎলীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান পেশকৃত চতুর্থ সংশোধনী বিল পাস হয়। এর মাধ্যমে দেশের সব রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে একদলীয় শাসন তথা বাকশাল গঠনের পথ উন্মুক্ত করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই