রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে পারেন সালাহ উদ্দিন

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও প্রাক্তন মন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমেদ ভারতের মেঘালয় রাজ্যে গ্রেফতারের তিনদিন পরও তার ‘নিখোঁজের’ বিষয়টি এখনো রহস্যঘেরা। তিনি কীভাবে এখানে এলেন তারও নির্দিষ্ট কূলকিনারা করতে পারেনি পুলিশ।

এদিকে হয়রানি ঠেকাতে সালাহ উদ্দিন আহমেদ ভারত সরকারের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে পারেন বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে শুক্রবার মেঘালয়ের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম শিলং টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

বিবিসি জানিয়েছে, মেঘালয় পুলিশের জেরায় সালাহ উদ্দিন বলেছেন, তাকে একটি খুপড়ি ঘরে প্রায় দুই মাস ধরে রাখা হয়েছিল। তাকে চোখ-মুখ বেঁধে বেশ কয়েকটি গাড়ি পরিবর্তন করে শিলংয়ে আনা হয় বলেও দাবি করেন তিনি। আবার তার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া দুইজন আত্মীয়ও এর আগে একই কথা জানান।

সালাহ উদ্দিনের শিলংয়ে পৌঁছানো নিয়ে কতকগুলো ধারণা অবতারণা করেছে শিলং টাইমস। এতে বলা হয়েছে, নিজেকে রক্ষায় ঝুঁকি নিয়েই তার দেশ থেকে শিলংয়ে আসার গুপ্ত রুট তিনি ব্যবহার করেছিলেন। আরেকটি ধারণা, স্থানীয় লোকজন এ ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণে তাকে সীমান্ত পারাপারে সাহায্য করেছিল।

বৃহস্পতিবার সালাহ উদ্দিনের আত্মীয় ও সহযোগীরা তার সঙ্গে দেখা করেছেন। সে সময় তার ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার জন্য আলোচনা হয়েছে। সালাহ উদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশেই তার জীবন পার করার কথা জানিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

সালাহ উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করার পর তার আত্মীয় দাবি করা কলকাতার ব্যবসায়ী আয়ুব আলী জানান, তাকে ৬২ দিন বন্দি অবস্থায় রাখা হয়েছিল। তার পরে চোখ বেঁধে বেশ কয়েকবার গাড়ি বদল করে নিয়ে আসা হয় এই জায়গাটাতে। পরে তিনি নিজেই খোঁজ করে জানতে পারেন, এটা শিলংয়ের গলফ লিংক এলাকা।

তবে অপহরণ তত্ত্বের বিষয়টিতে এখনো সন্দেহে রয়েছে মেঘালয় পুলিশ। পূর্ব খাসি হিলসের পুলিশ সুপার এম খারকারাঙ বলেন, ‘তিনি যেহেতু হার্টের রোগী, তাই আমরা এখনো তাকে জেরা করিনি। আমরা অপহরণ তত্ত্বের বিষয়ে নিশ্চিত নয়।’

মেঘালয় পুলিশের দু্জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিনকে বৃহস্পতিবার জেরা করেছেন। তবে জেরায় নতুন কোনো তথ্য আসেনি বলে জানানো হয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি। তবে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয় চাইবেন কি না- তিনি ওই সময় নিশ্চিত করে কিছু বলেননি।

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, সরকারি বাহিনীর দ্বারা হেনস্তা হতে পারেন উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে পারেন।



মন্তব্য চালু নেই