রাখিবন্ধন নাটক দেখে বাচ্চারা খারাপ হচ্ছে, সমাজও নষ্ট হয়
অনেক সম্ভাবনা নিয়ে শুরু হয়েছিল স্টার জলসা-র ধারাবাহিক ‘রাখিবন্ধন’। কিন্তু ফুটফুটে একটি শিশুর মুখে এ সব কী কথা?
বাংলা ধারাবাহিকের গল্প সেই থোড় বড়ি খাড়া, খাড়া বড়ি থোড় বলে যাঁরা অভিযোগ করেন, তাঁদের মু-তোড় জবাব দিতে পারে বলে সম্ভাবনা জাগিয়েছিল ‘রাখিবন্ধন’।
কারণ সেখানে ঠিক প্রেম-সংসার-জোড়া বিয়ে ইত্যাদি চেনা ছক থাকবে না বলেই ভাবা গিয়েছিল। নিষ্ঠুর জেঠিমার হাতে দুই অনাথ ভাই-বোনের দুর্দশা আর সেখান থেকে দু’জনের জীবনে ঘুরে দাঁড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা— মোটামুটি এমন একটা স্টোরিলাইন থাকবে বলেই মনে হয়েছিল সিরিয়ালের প্রোমো দেখে।
কিন্তু সেই অসাধারণ জীবন-সংগ্রাম দেখাতে গিয়ে ধারাবাহিকের চিত্রনাট্যকার খুদে অভিনেতার মুখে যা যা সংলাপ লিখছেন, সেটা বহু দর্শকের কাছেই অসহনীয় হয়ে উঠছে। ছোটরা অনেক সময়েই এমন কিছু কথা বলে বা বলে ফেলে যা তারা আদতে ঠিক বোঝে না।
কোথায়, কখন কোন কথাটা বলতে হয় তার সম্যক ধারণা তাদের থাকে না। কিন্তু সেই ধরনের কথাবার্তা কখনওই অভিপ্রেত নয়। বয়সের তুলনায় অতিরিক্ত পাকা কথা ছোটদের মুখে শুনতে ভাল লাগতে পারে কিন্তু সেটা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে একেবারেই ভাল নয়।
অন্যদিকে, রাখিবন্ধন নাটকের শিশু নির্যাতন অতিরিক্ত দেখানো হচ্ছে। অতিরঞ্জিত কথা negative character গুলিতে যে বাচ্চারা দেখছে খুবই খারাপ প্রভাব ফেলছে। এতে বাচ্চারা খুব খারাপ হচ্ছে পাশাপাশি দিন দিন সমাজটাও নষ্ট হয়।
এই ধারাবাহিকে ‘রাখি’ চরিত্রটির মুখে তেমন সংলাপ বসিয়ে ঠিক কী বোঝাতে চাইছে প্রযোজক সংস্থা ও চ্যানেল কর্তৃপক্ষ? এর নাম অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বা অত্যাচারের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানো? শৈশবের অসহায়তাকে বোঝাতে গিয়ে গোটা বিষয়টা কি মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে না?-এবেলা
মন্তব্য চালু নেই