রাউজানে মরিচের বাম্পার ফলন; কৃষকের মুখে হাঁসি

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার হালদা নদীর তীরবর্তী ফসলি জমতি মরিচের বাম্পান ফলন হয়েছে। উপজেলার হালদা-তেরপারি-সর্ত্তার তীরবর্তী ফসলি জমিগুলোতে শীতকালীন সবজি জাতীয় ফলন উৎপাদনে কৃষকরা সফল হয়। মরিচ ক্ষেতের চাষাবাদ করে কৃষকেরা তাদের জমি থেকে উৎপাদিত মরিচ সারা বৎসর ঘরে তরি-তরকারী, মাছ-মাংসে রান্না করে অবশিষ্ট মরিচ বাজারে বিক্রয় করেন।

রাউজান উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সনজিব কুমার সুশিল জানান, এ বৎসর রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় দুইশত ত্রিশ হেক্টর জমিতে মরিচ ক্ষেতের চাষাবাদ করেছে কৃষকরা। মরিচ ক্ষেতের চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতি হেক্টর মরিচ ক্ষেতের চাষাবাদ বাবদ খরচ হয় আটারহাজার পাঁচশত টাকা আগের তুলনায় একটু কম। প্রতি হেক্টর মরিচ ক্ষেতের ফলন থেকে কাচাঁ মরিচ উৎপাদন হয় পাচঁ মেট্রিক টন। উৎপাদিত কাচাঁ মরিচের বর্তমান বাজার মুল্য অনুসারে বিক্রয় করে কৃষকেরা দুই লক্ষ নব্বই হাজার টাকা আয় করেন। প্রতি হেক্টর মরিচ ক্ষেতের জমি থেকে শুকনা মরিচ উৎপাদিত হয় এক মেট্রিক টন। প্রতি হেক্টরের উৎপাদিত এক মেট্রিক টন শুকনা মরিচ বর্তমান বাজার মুল্য অনুসারে বিক্রয় করে কৃষকেরা তিন লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা আয় করেন বলে উপজেলা কৃষি অফিস জানায়।

উপজেলার নোয়াজিষপুর ইউনিয়নের নদীমপুর এলাকার সফল কৃষক মুহাম্মদ শফি জানান, আমি নিজের ৩০ শতক জমিতে মরিচ ক্ষেতের চাষাবাদ করেন। তিনি আরো বলেন ৩০ শতক জমিতে মরিচ ক্ষেতের চাষাবাদ করতে তার খরচ হয়েছে চৌদ্দ হাজার পাঁচশত টাকা। বর্তমানে শফির মরিচ ক্ষেতের জমি থেকে চার-পাঁচমন শূকনা মরিচ ঘরে তুলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার মরিচ ক্ষেতের জমি থেকে আরো দশ-বিশমন শুকনা মরিচ ঘরে তুলতে পারবেন বলে তিনি জানান। ফসল কৃষক শফি তার মরিচ ক্ষেত থেকে বর্তমান বাজার মুল্য অনুসারে এক থেকে দুই লক্ষ টাকা আয় করতে পারবে বলে আশা করেছেন।

উপজেলার নদীর তীরবর্তী ও বাম্পার ফলনের এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে নদিমপুর, পশ্চিম নদীমপুর, পশ্চিম ফতেহনগর, গহিরা ইউনিয়নের কোতয়ালীঘোনা, পৌর এলাকার বদুর ঘোনা, মঘাশাস্ত্রি বড়–য়া পাড়া অংকুরী ঘোনা, দক্ষিণ গহিরা, গহিরা মোবারকখীল, পশ্চিম বিনাজুরী, কাগতিয়া কাসেমনগর, গোলজারপাড়া, আজিমেরঘাট, মগদাই, আবুরখীল, খলিফারঘোনা, উরকিরচর, সার্কদা, নোয়াপাড়া ইউনিয়নের মোকামি পাড়া কচুখাইন, বইজ্যাখালী খালের তীরবর্তী উরকিরচরের মিরাপাড়া, হারপাড়া, পশ্চিম নোয়াপাড়া, পটিয়া পাড়া, বদুমুন্সি পাড়া, কাটালভাঙ্গা খালের তীর বর্তী বদু মুন্সি পাড়া, মিরধার পাড়া, সাতবাড়িয়া, মনিকছড়ি খালের তীরবর্তী বড়ঠাকুর পাড়া, কাগতিয়া খালের তীরবর্তী মজিদা পাড়া, বিনাজুরী, জা¤ম্মইন, উত্তর গুজরা, মঙ্গলখালী, রাউজান খালের ও মূখয়ড়ি খালের তীরবর্তী পুর্ব রাউজান সমশের নগর, কেউটিয়া, জয়নগর বড়–য়া পাড়া, রশিদা পাড়া, পশ্চিম রাউজান, হরিশখান পাড়া, খলিলাবাদ, ডাবুয়া খালের তীরবর্তী জানিপাথর, বৃকবানুপুর, গলাচিপা, ডাবুয়া, রামনাথ পাড়া, কেউকদাইর, চিকদাইর পাাঠান পাড়া, সুলতান পুর কাজী পাড়া,ইদিল পুর, পুর্ব গহিরা, সর্তা খালের তীরবর্তী রাউজানের হলদিয়া, গর্জনিয়া এয়াসিন নগর, উত্তর সর্তা, লাঠিছড়ি, গনিপাড়া, পশ্চিম ডাবুয়া, চিকদাইর, দক্ষিন সর্তা, ফতেহ নগর, গহিরা দলই নগর, মোগদা খালের তীরবর্তী চিকাদাইর, পশ্চিম সুলতান পুর, খাসখালী খালের তীরবর্তী রাউজানের হিংগলা, কলমপতি, দক্ষিন হিংগলা, সাপলঙ্গা, ঢেউয়া পাড়া, হাজী পাড়া, শরীফপাড়া, নন্দ মাঝিপাড়া, লেলেঙ্গারা, বেরুলিয়া খালের তীরবর্তী ছত্রপাড়া, সুলতানপুর ছিটিয়া পাড়া, হরনাথ ছড়া খালের তীরবর্তী কদলপুর ভোমর ঢালা খালের তীরবর্তী পুর্ব রাউজান, ভোমর পাড়া, এলাকার ফসলী জমিতে শুস্ক শীত মৌসুমে এলাকার কৃষকেরা মরিচ ক্ষেতের চাষাবাদ করেন।

এলাকার কৃষকেরা জানিয়েছেন গেল বৎসরের তুলনায় এ বৎসর মরিচের ফলন আরো ভাল হয়েছে। যদি ফসলি জমিতে প্রাকৃতিক কোন রোগ বা দূযোর্গ না হলে কৃষকেরা তাদের ক্ষেতের উৎপাদিত মরিচ বিক্রয় করে আর্থিক ভাবে অধিক লাভবান হবেন।



মন্তব্য চালু নেই