রাউজানে আইনজীবিদের অনির্দিষ্টকালের জন্যে আদালত বর্জন, বিচার প্রার্থীদের মানববন্ধন
মাসের পর মাস মামলা নিষ্পত্তির আদেশ না দেয়ায় রাউজান সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের সিনিয়র সহাকারি জজ মোহাম্মদ আমিনুল ইসলামকে প্রত্যাহার করার দাবীতে আইনজীবিদের অনির্দিষ্টকালের জন্যে আদালত বর্জন ও বিচার প্রার্থীদের মানবন্ধন হয়েছে।
গত রবিবার বেলা ১১টা থেকে রাউজান সিনিয়র সহাকরি জজ আদালতের আইনজীবি সমিতির আইনজীবিরা বর্তমান জজকে প্রত্যাহার করে আরেকজন জজ নিয়োগের দাবিতে পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনিদিষ্টকালের জন্যে আদালত বর্জন করেন। একইদিন দুপুরে একই দাবিতে এই আদালতের অনেক বিচার প্রার্থী (বিভিন্ন মামলার বাদী) মানবন্ধন করেন।
গত রবিবার দুপুরে আদালত বর্জন স¤পর্কে স্থানীয় সাংবাদিকদের ব্রিফিং দিয়ে রাউজান সিনিয়র সহাকরি জজ আদালতের আইনজীবি সমিতির সভাপতি এডভোকেট আলহাজ নুর আহম্মদ ও সাধারন স¤পাদক আলহাজ সৈয়দ গোলাম সরোয়ার বলেন ‘বর্তমান সিনিয়র সহাকারি জজ আমিনুল ইসলাম প্রায় দেড় বছর পূর্বে এই আদলতে যোগদান করেন। এখানে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মামলা রয়েছে। কিন্ত মামলার শুনানী হলেও কোন রায় হয়নি। এতে সাধারন বিচার প্রার্থীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। আমরা এর পূর্বে সহাকারি জজ আমিনুল ইসলামকে জনগনের এই দুভোর্গের কথা তুলেও ধরেছি। কিন্ত তাতে কোন কাজ না হওয়ায় আমরা আজ (রবিবার) থেকে আদালত বর্জন শুরু করেছি। যতদিন তাকে এই আদালত থেকে প্রত্যাহার করা না হবে, কিংবা একজন দ ও যোগ্য জজ নিয়োগ দেয়া না হবে, ততদিন এই আদালত বর্জন অব্যাহত থাকবে। তারা আরো বলেন গত ১লা ফেব্র“য়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত কোন আদেশও দেয়া হয়নি। শুধু মামলার তারিখ দেয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে অন্যান্য আইনজীবিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট সুকুমল কান্তি চৌধুরী, সমীর কান্তি ধর, সুজি কুমার সরকার, মেজবাহ উদ্দিন মারুফ, হাফেজ জাফর আহম্মদ, শাপলু কুমার দে।
এ প্রসঙ্গে জানতে সিনিয়র সহকারি জজ আদালতের জজ আমিনুল ইসলামের সাথে সাংবাদিকেরা কথা বলতে চাইলে সেরেস্তাদার সাব্বির আহম্মদ জানান, জজ সাহেব কথা বলতে পারবেননা। এদিকে একই দিন দুপুরে এই আদালতে শতাধিক বিচার প্রার্থী রাউজান সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের সিনিয়র সহাকারি জজ মোহাম্মদ আমিনুল ইসলামকে প্রত্যাহার করার দাবীতে আদালতের সামনে ব্যানার নিয়ে মানবন্ধন করেন।
এ প্রসঙ্গে পশ্চিম রাউজান এলাকার অবসরপ্রাপ্ত শিক বৃদ্ধ প্রিয়দর্শী বড়–য়া বলেন ‘আমার কিছু পৈতৃক স¤পত্তি জরিপ ভূল হয়। ভুল জরিপ সংশোধনের জন্য রাউজান সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা মামলা করি। মামলা নং-৩৫৭/২০১৩। মামলা দায়ের করার পর থেকে দুই বৎসর অতিবাহিত হলেও কোন রায় পায়নি। শুধু মামলার তারিখ পাচ্ছি। দনি হিংগলা এলাকার জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন ‘আমার কিছু জমি জরিপে ভূল করায় জরিপ সংশোধনের জন্য রাউজান সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা করি। মামলা নং- ৫২৬/২০১২। মামলার হাজিরা দিতে আদালতে আসি, কিন্ত রায় পাচ্ছিনা।
মন্তব্য চালু নেই