রাউজানে অতিথি পাখির আগমন: এমপির উদ্যোগে গড়ে উঠবে পক্ষিশালা
প্রাকৃতিক সুন্দর্য্যরে অপরূপ সুন্দর হালদা, কর্ণফুলি নদী ও পাহাড় বেষ্টিত আধুনিক রাউজানে দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে অতিথি পাখির আগমন। প্রতিবছরই উপজেলার খাল-বিল, পুকুর-ডোবা, দীঘি-পাহাড় ও জলাসয় ভূমিতে নতুন নতুন অতিথি পাখির দেখা মেলে। এছাড়াও অনেক সময় এসব অতিথি পাখি লোকালয়েও চলে আসে। এতে রাউজানবাসিকে প্রাণ চঞ্চল করে তোলে।
সূত্রমতে উপজেলা জুড়ে জমি গুলোতে প্রতিবছর ধামি জমির চাষ হয় দুই থেকে তিন বার। এরই মধ্যে জমি গুলোতে দলে দলে দেখা মেলে টিয়া পাখি, বক, চিল, গনেষ, মাছরাঙ্গা, বাডিসহ নানা জাতের অতিথি পাখি। এসব পাখি দেখতে ছুটে যাই উৎসুখ লোকজন। তবে এসব পাখি যেন নিরাপদে থাকতে পারে সেই জন্য রয়েছে কঠোর সর্তকতা। যেন কেউ এসব পাখি শিকার, আটক করতে না পারে বিষয়টি নিয়ে এলাকার সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী যতেষ্ট সতর্ক দৃষ্টি রাখতে প্রশাসনের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। যার দরুন এসব অতিথি পাখিরা নিরাপদে এই রাউজানকেই বেচে নিয়েছে আপন ঠিকানা হিসেবে।
এছাড়াও রাউজানের পাশ ঘেষেই রয়েছে এশিয়ার অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা ও বঙ্গোপসাগরের প্রশাকা কর্ণফূলি নদী। প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশ ও নদী এবং পাহাড় বেষ্টিত হওয়ায় এমনিতেই আগে থেকে রাউজানে পাখির আগমন ঘটতো। এবস বিবেচনা করে রাউজানেই পক্ষিশালা করার চিন্তা করছে এলাকার সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি। তিনি রাঙ্গামাটি মহাসড়কের পাশেই পাহাড়ে একটি পক্ষিশালা করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। যেখানে বিভিন্ন ধরনের পশুর পাশাপাশি নানা জাতের পক্ষিশালা থাকবে। থাকবে বিনোদনের ব্যবস্থা। এই ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মানুষ।
জানা যায়, উপজেলার দুপাশে হালাদা ও কর্ণফুলি নদী, উত্তরে উত্তরে ফটিকছড়ির সিমান্তে পাহাড়, পূর্বে রাঙ্গামাটি সীমান্তেও পাহাড়, অন্যদিকে কদলপুর, পাহাড়তলীতে রয়েছে বিশাল বিশাল পাহাড়। এখানে অতিথি পাখিসহ নানা জাতের পশু পাখি নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে রাউজানকেই প্রাধান্য দেয়। এছাড়াও রাউজানে পশু পাখি শিকারে ব্যাপক কঠোরতা থাকায় কোন পশু পাখি কেউ আটক বা হত্যা করতে পারে না।
যার কারনে প্রতিবছর এ উপজেলায় পশু পাখির আনাগোনা বৃদ্ধি পেলেও তাদের যথাযত সংরক্ষনের উদ্যোগ নেয়নি কেউ। তবে এলাকার সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী রাঙ্গামাটি মহাসড়কের পাশে পাহাড়ে একটি পক্ষিশালা করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। যেখানে উম্মুক্ত পাহাড়ে নানা জাতের পাখি থাকবে। তাদের খাবারসহ সংরক্ষনের জন্য রাখা হবে মানুষ।
বিষয়টি নিয়ে এলাকার সাংসদ ও রেলপথ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি বলেন, রাউজানে প্রতিবছর যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে পাখিদের আনাগোনা। এতে এদের যথাযতভাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিতে পারলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাবে।
এছাড়াও আমরা সড়কের পাশে এখন আশ্রপালি চারা রোপণ করছি। যেসব গাছ থেকে পশুপাখিরাও খাদ্য খেয়ে জীবন ধারন করতে পারবে।
মন্তব্য চালু নেই