রহস্যে ঢাকা ও ‘কুখ্যাত’ সেই বাঘ মন্দির
বাঘ দেখার জন্য সবাই চিড়িয়াখানায় যায়, অথবা যায় অভয়ারণ্যে৷ কিন্তু মন্দিরে বাঘ দেখতে যায়, তাও আবার টাকা দিয়ে এমন শুনেছেন কি? থাইল্যান্ডের এক মন্দির কিন্তু বাঘের জন্য বিখ্যাত এবং কুখ্যাতও৷ খবর ডয়েস ভেলের।
ওয়াত ফা লুয়াং তা বুয়া বৌদ্ধমন্দির : থাইল্যান্ডের কাঞ্চনাবুরি প্রদেশের একটি বৌদ্ধ মঠে ১৩৭টি বাঘ ছিল৷ ২০০১ সাল থেকে সেখানকার বাঘগুলো সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছিল সরকার, যা চলতি মাসে সফল হয়েছে৷
মন্দিরে এত বাঘ : বিশ্বজুড়ে যেখানে বাঘের সংখ্যা কমে যাচ্ছে , সেখানে এই মন্দিরে একসাথে এত বাঘ থাকার বিষয়টি অবাক করার মতোই৷ সেখানে এই বাঘগুলোর দেখভালের ওপর সরকারেরও কিন্তু কোনো নিয়ন্ত্রণই ছিল না!
বাঘের সাথে সেলফি : আপনি বাঘের সাথে সেলফি তুলতে চান? ‘বাঘ মন্দিরে’ এটা কোনো ব্যাপারই ছিল না৷ অর্থ দিলেই মিলতো সেই সুযোগ৷ কিন্তু একটা জলজ্যান্ত বাঘ আপনার দিকে ফিরেও চাইছে না তা কী করে সম্ভব? সেটাই এখন পরীক্ষা করে দেখছেন প্রাণী চিকিৎসকরা৷ ধারণা করা হচ্ছে এদের একধরনের ওষুধ দিয়ে নিস্তেজ করে রাখা হতো৷
চলছে তদন্ত : ওষুধ বানানোর জন্যই কি ঐ মন্দিরে বাঘদের পোষা হতো এবং বাঘ মেরে ফেলা হতো? এটারই তদন্ত চলছে এখন৷ এমনকি ধারণা করা হচ্ছে বাঘ পাচারও হতো ঐ মন্দির থেকে৷ চলতি মাসে ঐ মন্দিরে অভিযান চালিয়ে ৪০ টি ব্র্যাঘ্র শাবক, অর্থাৎ বাঘের বাচ্চার মৃতদেহ ফ্রিজ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ৷
অন্য প্রাণীর দেহাবশেষ : কেবল বাঘ নয়, থাইল্যান্ডের বাজারে আরো অন্য বন্য প্রাণীর অঙ্গপ্রতঙ্গ দিয়ে বানানো ওষুধ পাওয়া যায়৷ এদের মধ্যে এমন কিছু পাখি, পোকামাকড় ও সাপ রয়েছে যেগুলো প্রায় বিলুপ্তির পথে৷ মন্দিরে এমন কিছু প্রাণীর দেহাবশেষও পাওয়া গেছে৷
বাঘের জন্য সুসংবাদ : মন্দির থেকে উদ্ধার করা ১৩৭টি বাঘকে অভয়ারণ্যে ছেড়ে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে প্রশাসনের৷ বাঘেদের জন্য এটা সুসংবাদই বটে৷
মন্তব্য চালু নেই