রহস্যময় বালক রাজার স্বর্ণের মুখোশ

মিসরের এক রহস্যময় চরিত্র বালক রাজা তুতেন খামেনের বিখ্যাত স্বর্ণের মুখোশের চোয়ালে থাকা দাঁড়ির অংশ ভেঙে যায়। সময়টা বেশিদিন আগের নয়। বছরখানেক আগের। অবশেষে তা সংস্কারের দায়িত্ব নেয় মিসর ও জার্মানির প্রত্নতাত্ত্বিক দল। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের পরিকল্পনার কথা জানান তারা।

মিসরের ফারাও সাম্রাজ্যের এক রহস্যময় চরিত্র বালক রাজা তুতেন খামেন। ১৯২২ সালে আবিষ্কৃত তার স্বর্ণখঁচিত সমাধিকে মনে করা হয় প্রাচীন মিসরীয় ইতিহাসের অন্যতম নিদর্শন। তুতেন খামেনের মৃত মুখের ছাঁচে তৈরি মুখোশটি কায়রো জাদুঘরের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদের একটি।

গত বছর আগস্টে জাদুঘরেরই এক কর্মীর ধাক্কায় ভেঙে যায় মুখোশের দাঁড়ির অংশটি। নির্মাণকাজে ব্যবহৃত সাধারণ আঠা দিয়ে তাড়াহুড়ো করে সেটি জোড়া লাগানো হয়। মিসরীয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানতে পারে অনেক পরে। মুখোশের কোনো ক্ষতি না করে সেই আঠা তুলে ফেলাটাই এখন বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রত্নতাত্ত্বিকরা পরবর্তী ধাপে স্থায়ীভাবে দাঁড়ির অংশটি পুনর্স্থাপন করবেন।

মূলত এ প্রকল্পের দুটি বড় অংশ রয়েছে, যার একটি হলো দাঁড়ির অংশটি খোলা এবং আবার তা পুনর্স্থাপন করা। দ্বিতীয়তটি হলো, যে উপাদান দিয়ে এবং যে পদ্ধতিতে এটি তৈরি তার পূর্ণাঙ্গ গবেষণা। মাস দুয়েকের মধ্যেই এটি সম্পন্ন করা যাবে বলে আশা করছে মিসরীয় কর্তৃপক্ষ।

এদিকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার বছরের পুরনো তুতেন খামেনের মমি আরেকটি কারণেও আলোচিত। সেটা হলো সমাধি আবিষ্কারের সাথে জড়িত একাধিক প্রত্নতাত্ত্বিকের রহস্যময় মৃত্যু। অনেকেরই ধারণা, মমিকৃত তুতান খামেনকে যে বিরক্ত করবে, ফারাও বংশের অভিশাপে মৃত্যুই তার শেষ পরিণতি।



মন্তব্য চালু নেই