রক্ত দিয়ে দেশে সুশাসন ফিরিয়ে আনব: খালেদা
৫ জানুয়ারির সমাবেশকে কেন্দ্র করে শনিবার থেকেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তার গুলশানের কার্যালয়ে অবরুদ্ধ রয়েছেন। পুলিশ ঘিরে রেখেছে তার কার্যালয়। শেষ পর্যন্ত বের হতে পারেননি তিনি।
বিকাল ৫ টা ০৫ মিনিট: গণমাধ্যমে বক্তব্য দেয়া শেষে আবারো কার্যালয়ের ভেতরে ফিরে গেছেন খালেদা জিয়া। তার সাথে অন্যান্যরাও কার্যালয়ে ফিরে গেছেন।
বিকাল ৫ টা ০২ মিনিট: কার্যালয়ের ফটকে খালেদা জিয়া বলেন, রক্ত দিয়ে হলেও দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে।
তিনি বলেন, কেন হঠাৎ এত নিরাপত্তা? কিসের জন্য এত নিরাপত্তা? আমি নয়াপল্টনের কার্যালয়ে যেতে চাই।
এসময় তিনি সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ডাক দেন খালেদা জিয়া। বিএনপিসহ ২০ দলের নেতাকর্মীদের অবরোধ সফল করার আহবান জানান তিনি।
তিনি বলেন, কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। ১৪৪ ধারা জারি করে সমাবেশ বন্ধ করা যাবে না। এই সরকার যত আইন পাশ করেছে সব অকার্যকর হয়ে যাবে।
বিশেষ জেলা এবং ছাত্রলীগ পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। পুলিশের উদ্দেশ্যে বেগম জিয়া বলেছেন, বেশি বাড়াবাড়ি করবেননা। এই বাড়াবাড়ি বেশিদিন টিকবে না।
খালেদা জিয়া বলেন, সরকারের তৎপরতা দেখে মনে হচ্ছে দেশে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন আরও বলেন, বর্তমান সরকার অবৈধ, জালিম সরকার। তারা নিরীহ মানুষের উপর হামলা করছে, গুম করছে, খুন করছে। এসব কিছুর জন্য এই অবৈধ সরকারই দায়ী। এই অবস্থা চলতে পারেনা। সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই। এই সরকার দেশকে কারাগারে রুপান্তরিত করেছে। দেশে কোনো স্বাভাবিক অবস্থা নেই। সর্বত্র অস্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে।
বিকাল ৪ টা ৩৮ মিনিট: গাড়ি থেকে নেমছেন বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়া। তিনি এখন গণমাধ্যমের সাথে কথা বলছেন।
বিকাল ৪ টা ৩৩ মিনিট: সংগ্রাম চালিয়ে যেতে খালেদা জিয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী।
বিকাল ৪ টা ২৬ মিনিট: গোয়েন্দারা নিশ্চিত করেছেন যে, তাদের কাছে খবর ছিলো বিএনপি নেত্রী সমাবেশের নামে অরাজকতা তৈরী করতে চান। এজন্যই তারা বেগম জিয়াকে সমাবেশ করতে দিবেনা। ইতিমধ্যে বেগম জিয়াকে সেটা জানিয়েও দেয়া হয়েছে।
বিকাল ৪টা ২৪ মিনিট: গাড়িতে বসে আছেন বেগম জিয়া। তাঁকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে বিএনপির প্রচুর নেতাকর্মী।
বিকাল ৪টা ২২ মিনিট: খোলেদা জিয়ার গেটে তালা মারায় সরকারবিরোধী স্লোগান দিচ্ছে বিএনপির নারী নেত্রীরা।
বিকাল ৪ টা ২০ মিনিট: ৮ স্তর থেকে বাড়িয়ে নিরাপত্তা ৯ স্তর করা হয়েছে। জলকামান বেগম জিয়ার গাড়ির দিকে তাক করে রাখা হয়েছে।
বিকাল ৪টা ১৬ মিনিট: খালেদা কার্যালয়ের আশেপাশের পরিবেশ- কার্যালয়ের ঠিক সামনেই প্রচুর সংখ্যক পুলিশ রয়েছে। এর পরই আছে জলকামান বহনকারী ভারী একটি গাড়ি। এর দু পাশে আছে পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের বহনকারী অনেকগুলো গাড়ি। তারপর রাস্তার ওপরই রাখা আছে বেশ কয়েকটি বালু ও পাথরভর্তি ট্রাক।
বিকাল ৪ টা ১১ মিনিট: খালেদার গাড়ি থেকে তীব্র হর্ন দেয়া হচ্ছে এবং গাড়ি থেকে কালো পতাকা দেখানো হচ্ছে।
বিকাল ৪টা ০৪ মিনিট: পুলিশ বলছে, ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে বেগম জিয়াকে কোথাও যেতে দেয়া হবেনা। কিন্তু তিনি যদি নিজ বাড়িতে যেতে চান, তাইলে তাকে সেখানে যেতে দেয়া হবে।
বিকাল ৪ টা ০১ মিনিট: বিএনপি কর্মীদের গেট থেকে সরাতে পিপার স্প্রে নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। স্প্রে থেকে রক্ষা পেতে গেটের ভেতর আগুন জালিয়েছেন বিএনপি নেতা কর্মীরা। স্প্রেতে একজন আহত হয়েছেন।
বেলা ৩টা ৫৫ মিনিট:নয়াপল্টনে যাওয়ার জন্য গাড়িতে উঠেছেন বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
নয়াপল্টনের উদ্দেশ্যে গুলশানের কার্যালয় থেকে রওনা দিতে গাড়িতে উঠেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। তার গাড়ির সামনে মহিলা দলের কয়েকজন নেত্রী কালো পতাকা হাতে অবস্থান করছেন। বন্ধ দরজা থেকে গাড়ির দূরত্ব মাত্র কয়েক গজ।
এদিকে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীরাও প্রস্তুত রয়েছেন, যাতে খালেদা জিয়া বের হলে নিরাপত্তার কোনো বিঘ্ন না ঘটে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এমএ কাইয়ূম সাংবাদিকদের বলেছেন, খালেদা জিয়াকে বহনকারী গাড়ি বের হতে দেওয়া হচ্ছে না।
বেলা ৩টা ৫২ মিনিটের দিকে তিনি বাসা থেকে বের হয়ে গাড়িতে উঠেছেন। কিন্তু তাঁর কার্যালয়ের মূল গেটে এখনো তালা ঝুলিয়ে রেখেছে পুলিশ। কার্যালয়ের সামনে এখনো প্রচুর পুলিশ অবস্থান করছে। এছাড়া খালেদার পথ আটকাতে বেশ কয়েকটি বালু ও পাথরের ট্রাক রাস্তায় রাখা হয়েছে।
এর আগে গুলশান কার্যালয়ের মূল গেটে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে তালা লাগিয়ে দেয় পুলিশ। এরপর দুপুর পৌনে ১টার দিকে গুলশান কার্যালয়ের অপর একটি গেটেও পুলিশ তালা লাগিয়ে দেয়।
বিএনপির গুলশান কার্যালয়ের সামনে এই মুহূর্তে পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের তীব্র হট্টগোল চলছে। নিরাপত্তা কর্মীরা আবারও খালেদা জিয়ার গাড়ি ঘিরে দাঁড়িয়েছেন।
মন্তব্য চালু নেই