যৌনাঙ্গ স্পর্শ করলে অজু ভেঙ্গে যায়, কথাটি কি সহিহ?
আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। মানুষের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গই আল্লাহর সৃষ্টি। একেকটি অঙ্গকে তিনি একেকটি কার্যক্ষমতা দিয়েছেন। এরপর মানুষকে তিনি দান করেছেন তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালন করার নিয়ম-বিধান।
যৌনাঙ্গ মানুষের অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি অঙ্গ। মানুষের শরীরের অপবিত্র ময়লা নিষ্কাষণ এবং সন্তান উৎপাদনের বিশেষ প্রক্রিয়া সম্পাদনের উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছেন। পবিত্রতা-অপবিত্রতার বহু বিষয়ও তাই যৌনাঙ্গের সঙ্গে সম্পৃক্ত। যেমন- মলমূত্র ত্যাগের কারণে ইবদাতের জন্যে অজু করা আবশ্যক হয় এবং বীর্যক্ষলনের কারণে গোসল আবশ্যক হয়। কিন্তু এর মানে এ নয় যে, সাধারণভাবে এই অঙ্গটাকে স্পর্শ করাই অশুচি কর্ম হবে।
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হজরত তালক ইবনে আলী [রা] বলেন, রাসুল [সা.] ইরশাদ করেছেন, এ তো [যৌনাঙ্গ] তার শরীরের অংশ বৈ নয়। অর্থাৎ শরীরের অন্যান্য অংশ স্পর্শ করলে যেমন অজু করা জরুরি হয়ে পড়ে না। তেমনি এখানেও হবে না। এভাবে যৌনাঙ্গ থেকে বের হওয়া ময়লা স্পর্শ করার দ্বারাও অজু করা আবশ্যক হয় না, বরং শুধু ময়লাটা ধুয়ে নিলেই চলবে।
এই বিষয়ে আরো দুয়েকটি হাদিস নিয়ে কেউ কেউ বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেন যে, যৌনাঙ্গ স্পর্শ করলে অজু করতে হবে। তাদের জবাবে ইমাম তিরমিজি [রহ] বলেছেন, এই বিষয়ক হাদিসের মধ্যে এখানে বর্ণিত এই হাদিসটি সবচে’ উত্তম তথা প্রণিধানযোগ্য।
ইমাম আবু হানিফার [রহ] মত এবং হানাফি মাযহাবের বিধানও এটাই যে, যৌনাঙ্গ স্পর্শ করার কারণে অজু ভঙ্গ হবে না। [তিরমিজি, হাদিস-৮৫]
মন্তব্য চালু নেই