যে ৬টি কারণে সফল ব্যক্তিরা ঘুমিয়ে পড়েন দ্রুত
ঘুমানোর সময় হয়ে গেছে। কিন্তু আপনার হাতে এখনো অনেক কাজ। অন্তত ২ ঘণ্টা লাগবে। কী করবেন আপনি? কাজ করবেন? নাকি কাল বেশী চাপ নিয়ে হলেও করে দেবেন। কিন্তু আজ ঘুমিয়ে পড়বেন?
কাজ ২ ঘন্টা বেশী করা না করা আপনার যতটা ক্ষতি করবে তাঁর চেয়ে কম ঘুমানোর ক্ষতি বেশী হতে পারে। একদিন ঠিক মত না ঘুমালে তাঁর রেশ রয়ে যাবে পরদিনও, এবং আপনি যদি এটি প্রায়ই করেন তাহলে দূর্বল হয়ে পড়বেন নিশ্চিতরূপেই।
আসুন জেনে নিই ৬ টি কারণ যার জন্য সফল মানুষেরা দ্রুত ঘুমিয়ে পড়াকে ঠিক মনে করেন।
১। ক্লান্ত শরীরে শিখলে মনে থাকে না
ক্লান্ত শরীরে আপনি যখন কিছু শেখার চেষ্টা করবেন তখন সেটা সবসময় ফলপ্রসু হয় না। আমাদের মস্তিষ্ক তখন চায় বিশ্রাম। তাকে জোর করে মাথা খাটাতে বাধ্য করা ঠিক নয়। এরচেয়ে ঘুমিয়ে ঝরঝরে শরীরে পরদিন চেষ্টা করুন। যেটা হয়ত এখন ২ ঘন্টা লাগবে ফ্রেশ মনে মাত্র কয়েক মিনিটেই আয়ত্ত হয়ে যাবে।
২। মেজাজ অস্থিতিশীল থাকে
ঘুম পেলে কিন্তু তখন মন মেজাজও ভাল থাকে না। কাজ করতে অসহ্য লাগে। আপনি যতই কাজে মনোযোগী হতে চান বিভিন্ন রকম ভাবনা মনে এসে ভিড় করে। এমনকি হতাশাবোধও হতে পারে। এরপর সব মিলিয়ে কাজটা ভালো না হলে নিজের যোগ্যতাকেই হয়ত প্রশ্ন করবেন আপনি।
৩। বিচারক্ষমতা হ্রাস করে
ধরুণ আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন করছেন। কোন একটা বিজ্ঞাপনের। ঘুমের সময় মানুষের বিচার ক্ষমতা হ্রাস পায়। তখন নিত্যদিন করা এই কাজটাই হয়ত আপনি এমনভাবে করলেন যে, অন্য সময় আপনার কাজের মান যা হত তা খুবই নিম্ন পর্যায়ে নেমে গেল। রং এর পছন্দ, নকশার পছন্দ সব ভুল হল। হতেই পারে। কারণ, মস্তিষ্ক তো বিশ্রাম চাইছে।
৪। কম ঘুম দূর্ঘটনার সম্ভাবনা তৈরি করে
হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের গবেষণার রিপোর্টে দেখা গেছে, ইনসোমনিয়ার কারণে প্রতি বছর ২,৭৪,০০০ কর্মদূর্ঘটনা এবং ভ্রান্তি ঘটে। আপনার মস্তিষ্ক যত কর্মক্ষম থাকবে তত সে ভাল কাজ করবে। দূর্বল অবস্থায় যতই আপনি চাপ তৈরি করবেন তার উপর ততই সে অদক্ষ ফলাফল দেবে। এতে নষ্ট হবে অর্থ, সময়, শক্তি।
৫। স্বাস্থ্য ঝুঁকি
কম ঘুম আপনার স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর। স্থূলতা, হৃদরোগ, রক্তচাপ, স্ট্রোক সহ অনেক ধরনের বড় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে শুধু ঠিক মত না ঘুমানোর কারণে। নিত্যদিনের শারীরিক দূর্বলতা তো আছেই। এই দূর্বলতা স্থায়ীও হয়ে যেতে পারে। পরে হয়ত ঠিক মত ঘুমালেও ক্লান্তি কাটতে চাইবে না আপনার।
৬। দক্ষতা কমে যায়
রাতের কাজের দক্ষতা তো কমবেই। পরদিনও আপনার কাজ ভাল হবে না ঠিকমত না ঘুমানোর কারণে। ঝিমুনি, ক্লান্তি, অবসাদভাব আপনার কাজের গতি কমিয়ে দেবে, মান হ্রাস করবে। সকালেও মস্তিষ্ক আরও বিশ্রাম চাইবে। ১ ঘন্টা কম ঘুমের ক্লান্তি মেটাতে আরও বেশী ঘুমাতে হবে, কিন্তু তার সময় হয়ত পাবেন না আপনি। তাই আগের দিন সময়মত ঘুমিয়ে পড়ুন। পরদিন পূর্ণ মনযোগের সাথে কাজে যোগ দিন।
মন্তব্য চালু নেই