যে ৫ টি ভুলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন আপনি!
ঘুম মানুষের অনেক প্রয়োজনীয় একটি জৈবিক চাহিদা। ঘুমুতে ভালো লাগে না এই কথাটি কিন্তু আজ পর্যন্ত কারো মুখেই শোনা যায় নি। বরং ঘুম না হওয়ার অভিযোগই শোনা যায় অনেকের মুখে। ঘুম না হলে কিংবা ঘুমে ব্যঘাত ঘটলে শুধুমাত্র ঘুমই নষ্ট হয় না নয়, এর কারণে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির সম্মুখীন হতে হয়। পরিমিত ঘুম না হওয়া, ঘুমের অনিয়ম এবং অনিদ্রা সমস্যার কারণে, মাথাব্যথা, শারীরিক দুর্বলতা, দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, এমনকি ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই ঘুম নিয়ে অবহেলা নয়। আপনার ঘুমে যদি ব্যঘাত ঘটতে থাকে তাহলে তা অবশ্যই ভাবনার বিষয়। আজকে জেনে নিন ঘুম সংক্রান্ত কিছু বিষয় যা আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় সেই সাথে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন আপনি।
১) আর্টিফিশিয়াল লাইট
অনেকেই ঘরে লাইট জ্বালিয়ে ঘুমান। অনেকের মতে তারা লাইট না জ্বালিয়ে ঘুমুতে পারেন না। ব্যাপারটি পুরোপুরি ভুল। লাইট জ্বালানো থাকলে তা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। একেবারে সাউন্ড স্লিপ অর্থাৎ সুখনিদ্রা বলতে যা বোঝায় তা হয় না। এতে করে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে থাকে আপনার। তাই লাইট একেবারে বন্ধ করে ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।
২) ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় বা খাবার
ঘুমানোর অন্তত ৩-৪ ঘণ্টা আগে ক্যাফেইন সমৃদ্ধ খাবার ও পানীয় যেমন চা-কফি, চকলেট, চকলেটের তৈরি অন্যান্য খাবার ইত্যাদি একেবারেই খাবেন না। ক্যাফেইন আপনার মস্তিষ্ককে সজাগ রাখে। তাই আপনি যদি ঘুমুতেও যান তাহলে আপনার ঘুম হবে ছাড়া ছাড়া। অর্থাৎ কিছুক্ষণ পর পরই ঘুম ভাঙার সমস্যা হবে, এতে করে আপনার মস্তিষ্ক এবং শরীর দুটোই অসুস্থ হয়ে পড়বে।
৩) দিনের বেলার দীর্ঘঘুম
অনেকেই দিনের বেলা ঘুমুতে উঠতেই চান না, অনেক দীর্ঘসময় ঘুমিয়ে থাকেন। এর কারণে রাতের ঘুমের সাইকেল নষ্ট হয় যার প্রভাব পড়ে আপনার দেহের উপরে। রাতে দেরি করে ঘুমানোর ফলাফল হিসেবে কমে যায় আপনার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। যার ফলে প্রায়ই ছোটোখাটো রোগে পড়েন আপনি। তাই দিনে ঘুমালেও ২০-৩০ মিনিটের ঘুম যথেষ্ট। গভীররাত পর্যন্ত জেগে থাকবেন না একেবারেই।
৪) ঘুমানোর পূর্বে প্রযুক্তির ব্যবহার
হাতের কাছে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ বা শোবার ঘরে লাগানো টেলিভিশন থাকলেই যে ঘুমুতে যাওয়ার আগে তা ব্যবহার করতে হবে এমন কোনো নিয়ম নেই। এই প্রযুক্তির ব্যবহার দিনেও করা যেতে পারে। ঘুমুতে যাওয়ার আগে এইসকল জিনিসের ব্যবহার আপনাকে দেরিতে ঘুমুতে বাধ্য করে এবং মস্তিষ্ক অনেকটা সময় ধরে সজাগ থাকে। তাই ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে যার ফলাফল দেখা যায় দেহের অসুস্থতার মাধ্যমে।
৫) ৪-৫ বার অ্যালার্মের ব্যবস্থা
একটু পর পর ঘুম ভাঙার সমস্যাটি সবচাইতে মারাত্মক সমস্যা। সকালে ঘুম থেকে উঠার সময় একটি বাজে কাজ করেন প্রায় সকলেই। তা হচ্ছে ৪-৫ বার অ্যালার্ম দিয়ে রাখেন। একবার বেজে উঠলে বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েন এবং পরের বার বাজলে আবার ঘুম ভেঙে যায়। এভাবেই চলতে থাকে। কিন্তু এতে করে আপনার নিজেরই ক্ষতি। নিজেকে আগে থেকেই প্রস্তুত করুন। সকালে প্রথম অ্যালার্মে ঘুম ভাঙলে আর ঘুমাবেন না।
সূত্রঃ stethnews
মন্তব্য চালু নেই