যে ৫টি কথা শিশুর সামনে একেবারেই নয়

‘মা হওয়া মুখের কথা নয়’, ঘুরে ফিরে এমন কথা হামেশাই শোনা যায়৷ কিন্তু বাচ্চার সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার পেছনে বাবার ভূমিকাও কিন্তু কম না৷ সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বাবা-মা-এর সম্পর্ক৷ এই সম্পর্ক যত দৃঢ় হবে, সন্তানের ওপর তত তার ভালো প্রভাব পড়বে৷ তার পাশাপাশি তো রয়েছেই, আপনি আপনার সন্তানের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করছেন, তার সঙ্গে আপনাদের সম্পর্কই বা কি..চলুন দেখে কোন কোন কথা একেবারেই বলা যাবে না আপনার সন্তানের সামনে৷

আমিও পড়াশোনাতে এতটাই খারাপ ছিলাম- ছেলে বা মেয়ে পরীক্ষায় ভালো রেজ্ল্টা করুক বা না করুক, তার সামনে একথা বলবেন না যে, আপনিও ওই বয়সে পড়াশোনাতে খারাপ ছিলেন৷ একথা শুনলে আপনার সন্তানের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ কমে গিয়ে অলস মনোভাব দেখা দিতে পারে৷

বাবার কাছে নালিশে- সন্তান কথা না শুনলে অনেকসময়ই বলা হয় যে, তার বাবাকে তার অবাধ্যতার ব্যাপারে জানানো হবে৷ বাবা শাস্তি দিলেই সে কথা শুনবে৷ এটা করতে গিয়ে কিনুত ধীরে ধীরে এক অন্যরকম অবস্থা তৈরি হতে থাকে, আর তা হল, বাবার প্রতি সন্তানের বয়৷ সে তার বাবাকে শ্রদ্ধা দেখানোর পরিবর্তে ভয় পেতে থাকে৷ যা পরবর্তীকালে এক দূরত্ব তৈরি করে৷

সর্বদা মেজাজ দেখাবেন না- পনার সন্তানকে সেরা তৈরি করার চাপে সর্বদা কি তার ওপর নজরদারি করছেন৷ নজরদারি থাকলে, খবরদারি কিন্তু সবসময় কেবারেই করবেন না৷ তাহলে কিন্তু হিতে বিপরীতে হবে৷ যে কোনও বিষয়েই তাকে পারফেক্ট করতে গিয়ে সবসময় যদি তার ওপর মেজাজ করেন, তাহলে একসময় তারও ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটবে, সে খিটখিটে মেজাজের আর অবাধ্য হয়ে উঠতে পারে৷pic4৪) সৌন্দর্য্যকে তুলে ধরুন- আপনার শিশুর ভালো দিকগুলো হাইলাইট করুন৷ তাঁর গুণ নিয়ে তাকে আরও সচেতন করে, সে সব গুণকে বিকশিত করতে সাহায্য করুন৷ কখনও ভুলেও তাঁর খারাপ দিক, বা তার রুপ-সৌন্দর্য নিয়ে নেতিবাচক কথা বলবেন না৷ এর ফল কিনতু মারাত্মক হ’তে পারে৷

জিরো ফিগার নিয়ে মাতামাতিকে প্রশ্রয় নয়- আজকাল শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে অল্প-বিস্তর সচেতন সকলেই৷ সেই সচেতনতা সীমার মধ্যে থাকলেই ভালো৷ বাচ্চার ওজন কমানোর বিষয়ে বা জিরো ফিগারের পাগলামোতে প্রশ্রয় দেবেন না৷ তাকে পর্যাপ্ত, সঠিক ডায়েটে খাবার দিন৷ বারবার ওজন কমানোর কথা বললে তার ওপর চাপ পড়তে পারে৷ সে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলতে পারে, অথবা অতিরিক্ত মাত্রায় সচেতন হয়ে খাবারে অনীহাও আসতে পারে৷
সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনে উৎসাহ দিন, স্বাভাবিক ছন্দে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে সে দিকে নজর রাখুন৷ আপনি দুশ্চিন্তায় থাকলে তার নেতিবাচক প্রভাব কিন্তু ধীরে ধীরে আপনার সন্তানের ওপর পড়তে বাধ্য৷ তাই সাবধান থাকুন, সতর্ক থাকুন৷



মন্তব্য চালু নেই