যে শ্রেণির মানুষেরা ঘুমের মধ্যেই যৌনমিলনে লিপ্ত হয়!
ঘুমের মধ্যেই কখনও আপনার প্রিয় মানুষটার সঙ্গে মীলিত হয়েছেন! ভাবছেন তো… এটা কি ধরণের প্রশ্ন? এহেন প্রশ্ন করার জথার্থ কারণ রয়েছে নিশ্চিয়ই। সম্প্রতি এক গবেষনার কথা জানলে আপনিও এই প্রশ্নটাই অনেকের কাছে রাখবেন। ভাবছেন তো গবেষণাটা কি? হেয়ালি না করে এবার মূল গবেষণায় আসা যাক!
গবেষণা বলছে, ঘুমের ঘোরে শুধু হাঁটা বা কথা বলাই নয়, কিছু মানুষ যৌনমিলনেও লিপ্ত হচ্ছেন। যাকে বিজ্ঞানসম্মতভাবে বলা হচ্ছে ‘সেক্সোমনিয়া’। ব্রিটিশ এক গবেষণায় এমনই একটা চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
ব্রিটেনের শীর্ষ বিছানা বিক্রেতা সংস্থা দ্য স্লিপ স্কুল এবং বেনসনস ফর বেডস’য়ের গাই মিডোজ এই গবেষণা করেন। তিনি বলেন, “উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলোর মধ্যে একটি হল, গবেষণার জন্য প্রশ্ন করা প্রতি দশ জনের মধ্যে একজন সেক্সোমনিয়া’য় আক্রান্ত।”
গবেষণার জন্য ব্রিটেনের মোট ১৩ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ঘুমের অভ্যাস পর্যবেক্ষণ করেন গবেষকরা। তারা জানতে পারেন, প্রতি দশ জনের মধ্যে একজন ঘুমন্ত অবস্থায় টয়লেটে গিয়েছেন। প্রতি সাতজনের মধ্যে একজন ‘স্লিপ প্যারালাইসিস’য়ে আক্রান্ত হয়েছেন। আর দশজনের মধ্যে একজনের দম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
গবেষণায় আরও জানা গিয়েছে, ঘুমন্ত অবস্থায় হাঁটাহাঁটি করার শতকরা ১৬ ভাগ মানুষ হালকা স্ন্যাকস খেয়েছেন। সাইকোলজি টুডের মতে, মহিলারা ‘স্লিপ সেক্স’য়ের সময় সাধারণত ‘সেক্সুয়াল ভোকালাইজেশন’ এবং মৈথুন করে থাকেন। অপরদিকে পুরুষরা স্পর্শ করা এবং সঙ্গমে লিপ্ত হয়ে থাকেন।
সেক্সোমনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে আরও ঘুমজনিত সমস্যা যেমন স্লিপ অ্যাপনিয়া বা ঘুমের মধ্যে শ্বাস নেওয়া থেমে যাওয়া এবং স্লিপ ডিপ্রাইভেশন বা নিদ্রাহীনতার লক্ষণ দেখা যায়। সেক্সোমনিয়া হচ্ছে ঘুমজনিত সমস্যা যা ঘুমন্ত অবস্থায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে যৌনতার উদ্রেক করে।
মিডোজ আরও বলেন, “আমরা অনেকেই ব্যস্ত এবং অস্থির জীবনযাপন করি। তাই হয়ত বিছানায় যাওয়া মাত্রই ঘুমিয়ে পড়া আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যায়। গবেষণার ভিত্তিতে বলা যায় বিশ্রামহীনতার কারণে প্রায়ই ঘুমের ব্যাঘাত হতে পারে।”
গবেষকরা শেষে জানান, ঘুমানোর আগে নির্দিষ্ট কোনো খাবার বা পানীয় যেমন অ্যালকোহল সেবনের ফলে ভালো ঘুম হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করে।
মন্তব্য চালু নেই