যে লক্ষণগুলো দেখে বুঝা যায় আপনি জীবনে সাফল্যের দিকেই যাচ্ছেন
সবারই জীবনের কোন না কোন সময়ে ব্যর্থতা আসে। এটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। জীবনকে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার উপায় খুঁজে বের করাটা জরুরী। আমরা প্রায়ই ছোটখাট জিনিসকে উপেক্ষা করে যাই। আপনি হয়তো কোটিপতি নন, আপনার হয়তো নিজের একটা বাড়ি বা গাড়ী নেই। তাই বলেই আপনি জীবনে ব্যর্থ না। যে লক্ষণগুলো দেখে বোঝা যায় আপনি জীবনে সাফল্যের দিকেই যাচ্ছেন সেগুলোর বিষয়েই জানবো আজ।
১। আপনার সম্পর্ক কম নাটকীয়
নাটকীয়তা পরিপক্কতার লক্ষণ নয়। বয়সের সাথে সাথে পরিপক্কতা বৃদ্ধি পাওয়া উচিৎ। অতীতে হয়তো আপনার সম্পর্কটা নাটকীয়তায় পরিপূর্ণ ছিল। আপনি যদি সেটা পেছনে ফেলে আসতে পারেন তাহলেই আপনি সফল।
২। আপনি সাহায্য চাইতে ভয় পান না
অন্যের কাছে সাহায্য চাইলেই আপনি দুর্বল হয়ে যাবেন না। আসলে এটিই শক্তি। কেউ কখনো একা সাফল্য লাভ করতে পারেন না। লক্ষ্য অর্জনের জন্য দলীয় ভাবে কাজ করতে হয়। অন্যের কাছ থেকে সাহায্য চাওয়াটা আপনার ব্যক্তি হিসেবে উত্থানের লক্ষণ।
৩। ভালো লাগছে না এমন জিনিস আপনি চলে যেতে দেন
আপনার যে জিনিস ভালো লাগে না তা আপনি না করার অর্থ এই নয় যে আপনি আত্মকেন্দ্রিক। নিজেকে ভালোবাসাই সাফল্য। নিজেকে যথেষ্ট ভালবাসতে পারলেই আপনার অপছন্দনীয় কাজ যা আপনাকে সুখি করে না বা যে কাজে আপনার উদ্দেশ্য পূরণ হয়না তা আপনি না করতে পারেন।
৪। ব্যর্থতা উন্নয়নেরই একটা অংশ
কোন মানুষই জীবনে শত ভাগ সাফল্য লাভ করতে পারেন না। জীবনে জয় পরাজয় থাকবেই। বাস্তবে বাধা-বিপত্তিকে সরিয়েই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হয়। জীবনের বিস্ময়কর যাত্রারই একটি অংশ ব্যর্থতা।
৫। আপনার এমন কিছু মানুষ আছে যারা আপনার জন্য যে কোন কিছু করতে পারেন
আপনাকে সব সময় সহযোগীতা করবেন এমন মানুষ যদি আপনার জীবনে থাকে তাহলে আপনি ভাগ্যবান। কিন্তু আপনার সামনে আপনাকে সহায়তা করার ভান করেন এবং আপনার পেছনে আপনার দোষ ধরার চেষ্টা করেন এমন মানুষদের যদি আপনি চিহ্নিত করতে পারেন তাহলেই আপনি সফল হয়েছেন ভাববেন। যদিও এটি খুবই বেদনাদায়ক অনুভূতি। কিন্তু আপনি যদি বিশ্বাস ভঙ্গকারীদের চিনতে পারেন তাহলে তাদের কাছ থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
৬। আপনি খুব বেশি অভিযোগ করেন না
অনেকেই আছেন যেখানে অভিযোগ করার তেমন কিছু নেই সেখানেও অভিযোগ করেন। কিন্তু আপনি যদি এর বিপরীত হন তাহলেই আপনি সফল হতে পারবেন। যতক্ষণ না জীবনে অকল্পনীয় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় ততক্ষণ অভিযোগ না করাই শ্রেয়।
এছাড়াও আপনি যদি অন্যের সাফল্যকে উদযাপন করতে পারেন, জীবনের লক্ষ্য থাকে যদি আপনার, কৃতজ্ঞ থাকলে, অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল থাকতে পারেন যদি, অন্যরা কি ভাবছে এটা নিয়ে চিন্তিত না থাকলে, ইতিবাচক থাকতে পারলে, যা পরিবর্তন করা সম্ভব নয় তা মেনে নিতে পারলে এবং সুখি থাকলেই আপনি সফল ভাববেন।
মন্তব্য চালু নেই