যে মন্দির ও দরগাগুলিকে ভূতও ভয় পায়

ভুতুড়ে জায়গায় যেতে অনেকেই ভয় পান। কিন্তু ভূতেরা কাকে ভয় পান জানেন? ভূতেদেরই যখন এখানে ভয় লাগে, আপনারও গা ছমছম করবে না, তা হয় না কি? বিশ্বাসে মেলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর। ভূতে বিশ্বাস করা বা না করা আপনার উপরে। কিন্তু ভারতের এই মন্দির, দরগাগুলিতে পারলে একবার ঘুরে আসুন। ভয় যদিও নাও পান, এমন অদ্ভুতুড়ে কাণ্ডকারখানা আর পরিবেশের সাক্ষী থাকার সুযোগ হাতছাড়া করবেন না।

এই মন্দিরটিতেই বোধহয় সবথেকে বেশি উদ্ভট কাজকারবার হয়। ভারতে একমাত্র এই মন্দিরটিতেই এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে ঝাড়ফুঁক করা হয়। রাজস্থানের দৌসা জেলার এই মন্দিরটিতে প্রতিদিন হাজার হাজার ভক্ত ভিড় করে বিভিন্ন অদ্ভুত উপায়ে প্রায়শ্চিত্ত করেন।

কেউ নিজেদের গায়ে গরম জল ঢালেন, তো কেউ আবার নিজেদের দেওয়ালের সঙ্গে চেন দিয়ে বেঁধে রাখেন। অনেকেরই ধারণা, এই মন্দিরটির চারপাশে প্রচুর অশুভ আত্মা রয়েছে। সবমিলিয়ে ভীষণ গা ছমছম পরিবেশ। শ্রী হনুমানের পুজোর জন্য ভক্তরা এলেও অনেকেই মনে করেন, এই মন্দিরে এলে অশুভ শক্তির নজর এবং অতৃপ্ত আত্মাদের হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যায়।

গুজরাটের উনিভা গ্রামের এই দরগাটিতে মানুষ ভূত তাড়াবার জন্য আসে। এমনকী, যাঁদের উপরে দীর্ঘদিন ধরে ভূতে ভর করেছে বলে তাঁদের প্রিয়জনেরা মনে করেন, তাঁদেরকেও এখানে ভূত তাড়াবার জন্য নিয়ে আসা হয়। সব ধর্মের মানুষই এখানে আসেন। আর ভূত তাড়ানোর সেই পদ্ধতিগুলিই আপনাকে ভয় পাইয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।

এই মন্দিরে ঢুকলেই আপনার গায়ে লোম খাড়া হয়ে যেতে বাধ্য। মন্দিরের মধ্যে অনেককেই উদভ্রান্তের মতো ছোটাছুটি করতে দেখা যায়। যাঁরা ছোটাছুটি করেন, তাঁদের নাকি ভূতে ধরেছে। ভূত তাড়ানোর জন্যই মন্দিরের মধ্যে ঘুরে বেড়ান তাঁরা। অনেকে আবার হাতের তালুর উপরে কর্পূর রেখে আগুন জ্বালিয়ে ঘুরে বেড়ান। প্রতি বছর এই মন্দিরে একটি ভূত মেলারও আয়োজন করা হয়।

মধ্যপ্রদেশের বেতুল জেলার গঙ্গাপুরের এই মন্দিরটিতে যাঁরা ভূত তাড়াতে আসেন, তাঁরাই মন্দিরের আরাধ্য দেবতাকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল করতে থাকেন। মানুষ চিৎকার করেন, নানা রকমের অপ্রকৃতিস্থ আচরণ করেন। যাঁদের ভূতে ধরে, তাঁরা মন্দিরের একটা নির্দিষ্ট অংশে রাখা লোহার কাঠামোর উপর থেকে ঝুলতে থাকেন। অনেকে আবার মন্দিরের দেওয়ালের গা বেয়ে ওঠার চেষ্টা করেন।-এবেলা



মন্তব্য চালু নেই