যে বিষয়ে কখনো নত হওয়ার নয়

প্রতিটি মানুষের রয়েছে স্বাধীন চিন্তার অধিকার। তার ইচ্ছাকে পূরণের জন্য আছে আত্মপ্রত্যয়। এরই ধারাবাহিকতায় নিজের জীবনে আসা সফলতা বা বিফলতায় অংশীদার থাকে পরিবার-পরিজন। তাই নিজের জীবনের লক্ষ্যকে স্থির রেখে এগিয়ে যেতে হয় সামনের দিকে। কারণ আপনার জীবন শুধু আপনার একার নয়। জীবনের কিছু ঘটনায়ও থাকতে হয় সুদৃঢ়। সেসব বিষয়ে কখনো নত হওয়া উচিৎ নয়। জেনে নেয়া যাক তেমন কিছু বিষয়-

নিজের চিন্তায়

নিজের ক্ষতি ডেকে এনে সাধ্যের বাইরে কোনো কাজে সম্মত হওয়া কখনো ঠিক নয়। এটা কখনো বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে না। একজন মানুষের পক্ষে সবসময় সবকিছু করা সম্ভব হয় না। সেটা নিজ জীবনে হোক বা কর্মক্ষেত্রে হোক। তাই নিজের চিন্তায় দৃঢ় হতে শিখুন। কারো অন্যায় আবদারে, অহেতুক চাপে কিম্বা নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করতে হলে, সরাসরি না বলে দিন। কারণ আপনার জীবন শুধু আপনারই নয়। সেখানে জড়িয়ে আছে কাছের মানুষগুলো।

নিজের অপারগতায়

আপনার বন্ধুরা প্রায়ই হয়তো ঘুরতে যাচ্ছে কিম্বা আড্ডা দিয়ে মজা করছে। আপনি সেসবের কিছুই করছেন না। এদিকে আপনার অফিস হয়তো খুব সকালে। কখনো জরুরি কাজেও নিয়োজিত থাকতে হচ্ছে। তাই এসব নিয়ে কখনো মন খারাপ করবেন না। তাদেরকে সময় দিতে পারছেন না বলে নতও হতে যাবেন না। তাদেরকে বিষয়টি বুঝিয়ে বলেন। এতেও যদি তারা নাছোড়বান্দা হয়, তবু সঙ্গ দিতে গিয়ে নিজের কাজের ক্ষতি করবেন না।

ছুটি কাটাতে

ছুটি কাটাতে বেশ অর্থকড়ি খরচ হয়। আবার ক্যারিয়ার সচেতরা কাজ ফেলে ছুটি কাটাতেও চান না। তবে যত যাই হোক না কেন, কাজ হতে নিজেকে ছুটি দেয়ার প্রয়োজন আছে। দূরে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার দরকার আছে। জীবনীশক্তি বাড়াতে এসব কাজের কোনো তুলনা নেই। তাই নিজেকে কাজের মধ্যে বন্দী রাখা ঠিক নয়। আবার বসের মন ধরে রাখতে ছুটিতে না গিয়ে নিজের ক্ষতি করাও ঠিক নয়।

দূষিত সম্পর্ক ত্যাগ

যে ভালোবাসা কিম্বা বন্ধুত্বের সম্পর্কে কেবল আপনার ক্ষতি হচ্ছে, তা ত্যাগ করা বুদ্ধিমানের কাজ। এসব সম্পর্কে শুধু কষ্ট ছাড়া কিছুই পাবেন না। এ সম্পর্ক ধরে রাখার অহেতুক চেষ্টাও নিজের জীবনের ক্ষতি। একটাই জীবন, অহেতুক কষ্ট পুষে রেখে লাভ নেই। এমন সম্পর্ক ছিন্ন করতে কখনোই অপরাধবোধে ভুগবেন না।

নিজের কথা ভাবা

নিজের কথা ভাবাটা অনেকে খুব স্বার্থপরতা মনে করেন। তবে সফল ব্যক্তিরা সব সময় নিজের কথা সবার আগে ভাবেন। তাই হাজারো স্বার্থপর মানুষের ভিড়ে নিজের অহেতুক উদাসীনতা শুধু কষ্টই দেবে। নিজেও কষ্টে থাকবেন, পরিবারের লোকজনও কষ্টে থাকবে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুখী থাকতে উদার হোন কিন্তু উদাসীন হবেন না।

লক্ষ্য পূরণ

জীবনের যে দিনটি পার হয়ে যাচ্ছে তা আর ফিরে আসবে না। তাই সময়কে উপযুক্ত ব্যবহার করুন। লক্ষ্য নির্ধারণ করে তা পূরনের চেষ্টা করুন। যাতে জীবনের একটা সময়ে গিয়ে মনে না হয়, পেছনের দিনগুলো হেলায় হারিয়েছি। কারণ তখন আর ফেরার পথ থাকবে না। পোহাতে হবে কষ্টকে। এজন্য কঠোর হোন, কাজ করে যান লক্ষ্য পূরণে। এখানে কোনো ছাড় দেয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।



মন্তব্য চালু নেই