যে প্রাণী অস্ট্রেলিয়া থেকে ডিম পাড়তে বাংলাদেশে আসে!
দেখতে ধবধবে সাদা হওয়ায় ইংরেজিতে এটিকে ‘অ্যালবিনো টার্টল’ বলা হয়। ‘অ্যালবিনো’ শব্দটি দিয়ে ধবল রোগীদের বোঝানো হয়।
বন্যপ্রাণী বিষয়ক একটি স্বেচ্ছাসেবক দল অস্ট্রেলিয়ায় খুঁজে পেয়েছেন অতি বিরল প্রজাতির একটি অ্যালবিনো কচ্ছপ।
ছোট আকৃতির সাদা রঙের এই কচ্ছপটি কুইন্সল্যান্ড সানশাইন উপকূলের কাস্টঅ্যাওয়ে বিচে একটি সবুজ কচ্ছপের বাসা থেকে পাওয়া গেছে।
দেখতে ধবধবে সাদা হওয়ায় ইংরেজিতে এটিকে ‘অ্যালবিনো টার্টল’ বলা হয়। ‘অ্যালবিনো’ শব্দটি দিয়ে ধবল রোগীদের বোঝানো হয়।
অস্ট্রেলিয়ার অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের সানশাইন উপকূলের কাস্টওয়ে সমুদ্র সৈকতে গত রোববার পাওয়া গেছে বিরলতম প্রজাতির প্রাণি ‘সাদা কচ্ছপ’।
এ প্রজাতির কচ্ছপের শুভ্রতা যে কাউকে মুগ্ধ করবে।
তবে জেনে বিস্মিত হবেন, পৃথিবীতে বাংলাদেশের সেন্টমার্টিনই হচ্ছে একমাত্র প্রবাল দ্বীপ, যেখানে বিরল প্রজাতির এই ‘সাদা কচ্ছপ’ অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কিলোমিটার সাগর পাড়ি দিয়ে ডিম পাড়তে এবং বংশবিস্তার করতে আসে।
প্রাণি বিশেষজ্ঞদের মতে, সবুজ কচ্ছপের এক লাখ বাচ্চার মধ্যে গড়ে একটি সাদা কচ্ছপ দেখা যায়।
বেশিরভাগ সময়ে সবুজ কচ্ছপের ডিম থেকেই জন্ম নেয় সাদা কচ্ছপ। অস্ট্রেলীয় প্রাণি বিশেষজ্ঞ ড. লিমপাস জানান, গত ৫০ বছর ধরে সামুদ্রিক প্রাণি নিয়ে গবেষণা করছেন তিনি।
এর মধ্যে এই প্রথমবারের মতো অ্যালবিনো কচ্ছপ দেখতে পেলেন তিনি। এ ধরনের কচ্ছপের বেঁচে থাকার হার খুবই কম বলেও জানান লিমপাস।
ছোট আকৃতির সাদা রঙের এই কচ্ছপটি কুইন্সল্যান্ড সানশাইন উপকূলের কাস্টঅ্যাওয়ে বিচে একটি সবুজ কচ্ছপের বাসা থেকে পাওয়া গেছে। ১২২টি সবুজ কচ্ছপছানার মধ্যে ছিলো এটি।
‘কচ্ছপটি খুবই চঞ্চল ছিলো। পানি দেখেই সে খুশিমনে পানির দিকে ছুটে গিয়েছিলো,’ জানান স্বেচ্ছাসেবক দলটির প্রেসিডেন্ট লিন্ডা ওয়ার্নমিন্ডে। ‘সে অসুস্থ ছিলো না, সে স্বাভাবিকভাবেই সাদা ছিলো,’ জানান তিনি।
ওয়ার্নমিন্ডে জানান, সাধারণভাবে প্রতি এক হাজারের মধ্যে মাত্র একটি সবুজ কচ্ছপ পূর্ণবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যালবিনো কচ্ছপের ক্ষেত্রে টিকে থাকার এ সম্ভাবনাটি আরো কম।
তবে আপাতত বিরল প্রজাতির কচ্ছপটি দেখে খুশিতে আত্মহারা স্বেচ্ছাসেবক দলটির সদস্যরা। সাগরের বুকে নিরাপদেই সে বড় হতে পারবে, এমনটাই প্রত্যাশা তাদের।
মন্তব্য চালু নেই