যে নম্বর ডায়াল করলে উত্তর ভেসে আসে পরলোক থেকে…!

‘ভুতুড়ে কল’ নিয়ে ব্যতিব্যস্ত থাকতে হতো ল্যান্ডফোনের আমলে। কে বা কারা নাম না জানিয়ে আবোল তাবোল বকে যেত রাতদুপুরে। কেউ কেউ তো আবার ফোনটি করে চুপ করে বসে থাকতেন। মাঝরাতে ঘুম ভেঙে সেই সব নিঃসাড় কল ধরে রীতিমতো ভয় পেয়েছেন অনেকেই। মোবাইল জমানায় পা দিয়ে অনেকেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন এই ভেবে যে, আর ভুতুড়ে কল আসবে না। কারণ ফোন নম্বর তো ডিসপ্লে-তে ফুটে উঠবেই। কেউ ফোন করে ভূতপনা দেখালে, সোজা কোতোয়ালিতে নালিশ ঠুকে দেওয়া যাবে।

কিন্তু তেমন স্বস্তি বেশিদিন থাকেনি। কীসব হ্যাকিং-ম্যাকিং করে করিতকর্মারা ভুতুয়া কল করতেই পারেন। করেও থাকেন। তাঁদের কথা অবশ্য এখানে আলোচ্য নয়। গত ১০ বছরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সংবাদমাধ্যমে আলোচিত হয়েছে এমন কিছু ফোন নম্বর, যা ডায়াল করলেই নাকি উত্তর ভেসে আসে পরলোক থেকে। অর্থাৎ মেকি, সাজানো ভূত নয়, এক্কেবারে খাঁটি ভৌতিক কণ্ঠে ভেসে আসে হাহাকারময় সব শব্দ, ভেসে আসে করুণ আর্তি। প্রায়শই নাকি বদলে যায় ও প্রান্তের কণ্ঠের মালিকানা। কখনও পুরুষ, কখনও নারীকণ্ঠে জবাব আসে পরলোকের সীমানা ছাড়িয়ে। মার্কিন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়ই উঠে আসে ০০০০০০০০০০ নম্বর থেকে আসা কলের গল্প। সেই কল রিসিভ করলেই মৃত্যুশীতল কণ্ঠে কেউ ‘হ্যালো’ বলে সম্ভাষণ জানান। তার পরে কী ঘটে, তা অবশ্য কেউই জানাননি।

ভারতে অবশ্য এই গল্প প্রথম ছড়ায় ২০০৬ নাগাদ। মোহিনী নামের এক নারীকে কেন্দ্র করে পল্লবিত হয় ভৌতিক কলের কাহিনি। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলেও আলোচিত হতে থাকে মোহিনীর কথা। একটি বিশেষ নম্বরে ডায়াল করলে সে কথা বলে ওঠে। সেই নম্বরটিতে পরে অনেকেই ডায়াল করতে থাকেন। তখন জানানো হয়, সেই নম্বর সাময়িকভাবে বাতিল।

সাম্প্রতিক সময়ে ০৯৪১৫৮১৭৬৮৩ নম্বরটিকে নিয়ে বেশ কিছু সংবাদপত্র লেখালিখি করেছে। এতে ফোন করলেই কোথা থেকে কখনও পুরুষ, কখনও নারীকণ্ঠে ভেসে আসে বিলাপ আর দীর্ঘশ্বাস। এই নম্বরে বাটন দাবিয়ে অবশ্য ‘সুইচড অফ’ ছাড়া আর কিছু শুনতে পাননি, এমন দাবিও অসংখ্য মানুষের। আবার অনেকে বলেছেন, এই নম্বরের ওপ্রান্ত থেকে নাকি ঘষা ঘষা গলায় কেউ ডায়ালকারির নাম ধরেও ডেকে বসছে। কোন যুক্তিতে সে জানতে পারে তা?

জানা নেই, এই সব ঘটনার পিছনে সক্রিয় মাথাগুলি কার বা কাদের। কিন্তু এতে যে অসংখ্য মানুষ ইনভলভড হয়ে পড়েন, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আর সেটা জানা থাকে বলেই কি কিছু মিচকে প্যাটার্নের পাবলিক গুজব রটিয়ে মজা দেখে? কে জানে!



মন্তব্য চালু নেই